পাতা:বিদ্যাসাগর জীবনচরিত - শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বাধীনাবস্থা।
১৪৫

এবং ১৮৮৪ খৃঃ অব্দে ল-ক্লাস খোলা হয়। ১৮৮৫ খৃঃ অব্দে বি,এ পরীক্ষায় মেট্রোপলিটান-কলেজ সর্ব্বপ্রথম স্থান অধিকার করে। সেই বৎসর বেঙ্গলগবর্ণমেণ্ট সুফল দেখিয়া, কলিকাতা গেজেটে মেট্রোপলিটান-কলেজের ভূয়সী প্রশংসা করিয়া, এক রেজোলিউসন্ প্রকাশ করেন।

 ইতিপূর্ব্বে কলিকাতা সুকিয়াষ্ট্রীটের যে বাটীতে বিদ্যালয় ছিল, লাহাবাবুরা ঐ বাটী ক্রয় করিয়া, ঐ স্থান হইতে অপর স্থানে বিদ্যালয় উঠাইয়া লইয়া যাইবার নোটীস দেন। এই সংবাদে অগ্রজ মহাশয়ের অত্যন্ত দুর্ভাবনা হয়। তিনি অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া, অবশেষে স্থির করেন, বাদুড়-বাগানে যে স্থানে নিজের বসতবাটী আছে, ঐ স্থানে আপন নূতন বাটী ভগ্ন কুরিয়া, ও উহার সংলগ্ন আরও কিঞ্চিৎ ভূমি ক্রয় করিয়া, কলেজ-বাটী প্রস্তুত করিব। তাহার প্ল্যান পর্য্যন্ত প্রস্তুত করাইয়াছিলেন, ইহাই তাঁহার প্রকৃত মহত্ত্বের পরিচায়ক; কারণ, ঐ বাটী ভিন্ন তাঁহার কলিকাতায় অবস্থিতি করিবার ও তাঁহার লাইব্রেরী স্থাপন করিবার অপর আর কোন স্বকীয় স্থান ছিল না এবং ঐ বাটীও মূল্যবান্ ছিল। ঐ সময়ে পঞ্চাশ সহস্র টাকা মজুত ছিল। প্রিন্সিপাল সূর্য্যবাবুর যত্নে, শঙ্কর ঘোষের লেনে মহেন্দ্রনারায়ণ দাসের নিকট, বিদ্যালয়ের নিমিত্ত ন্যূনাধিক ত্রিশ হাজার টাকায় ভূমি ক্রয় করা হয়। বাটী নির্ম্মাণের জন্য তৎকালে যে টাকার অসদ্ভাব হয়, তাহা কর্জ করিয়া বাটীনির্ম্মাণ-কার্য্য সম্পন্ন করেন। ভূমি-খরিদ ও ইমারত-নির্ম্মাণ প্রভৃতি কার্য্যে, প্রায় একলক্ষ ত্রিশহাজার টাকা ব্যয়িত হয়। অল্পদিনের মধ্যেই বিদ্যালয়-গৃহ নির্মাণের জন্য যাহা ঋণ হইয়াছিল, তৎসমস্ত পরিশোধ হইয়া যায়। খৃঃ ১৮৮৭ সালের জানুয়ারী মাসে, কলেজ-ক্লাস নূতন বাটীতে প্রবেশ করে, এবং ইহার দুই চারি মাস পরে স্কুলও নুতন বাটীতে যায়।

 শাখা-স্কুলের মধ্যে ১৮৭৪ সালে শ্যামপুকুর ব্রাঞ্চস্কুল স্থাপিত হয়। ১৮৮৫ খৃঃ অব্দে বহুবাজার এবং ১৮৮৭ খৃঃ অব্দে বড়বাজার ও বালাখানা ব্রাঞ্চ এই তিনটি স্কুল স্থাপন করেন। এস্থলে ইহাও স্বীকার করা উচিত যে, এই