পাতা:বিদ্যাসাগর জীবনচরিত - শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বাধীনাবস্থা।
২৪৩

সময়ে, উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকগণ, অগ্রজ মহাশয়কে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করেন।

 ১২৭৩ সালের দুর্ভিক্ষসময়ে, কাঙ্গালীরা দাদাকে “দয়ার সাগর” উপাধি প্রদান করেন।

 ১৮৮০ সালে মহারাণী ভিক্টোরিয়া, কম্পানিয়ন অব্ ইণ্ডিয়ান এম্পায়ার উপাধি প্রদান করেন।

 সন ১২৯৪ সালের চৈত্রমাসে অগ্রজ মহাশয় বলিলেন, “পিতৃদেব আমার প্রতি যে সমস্ত কার্য্যের ভার দিয়াছিলেন, তন্মধ্যে তিনটি কার্য্য করা হয় নাই। প্রথমতঃ গয়াকৃত্য; আমি শারীরিক যেরূপ দুর্ব্বল আছি, তাহাতে গয়াধামে গিয়া যে, নিজে ঐ সমস্ত কার্য্য সম্পন্ন করিতে পারিব, এরূপ বোধ হয় না। একারণ, তোমাকে সমভিব্যাহারে লইয়া যাইব। তুমি সমস্ত কার্য্য নির্ব্বহ করিবে, আমি সঙ্গে থাকিব মাত্র। দ্বিতীয়তঃ বীরসিংহ গ্রামে বাটীর উত্তরাংশে অনতিদূরে পিতামহের শ্মশানে একটি মঠ নির্ম্মাণ করিয়া, তাহার চতুর্দ্দিকে রেল দিয়া বেষ্টিত করা। তৃতীয়তঃ বীরসিংহ গ্রামে পিতামহীদেবীর প্রতিষ্ঠিত অশ্বখ-বৃক্ষের মূলে আলবাল-বন্ধন ও তলে স্থানে স্থানে সাধারণের বসিবার উপযোগী প্রস্তার-নির্ম্মিত বেঞ্চ স্থাপন।

অশ্বখ-বৃক্ষ।

 অগ্রজ মহাশয় আমায় বলিলেন, “পিতামহীর প্রতিষ্ঠিত অশ্বখ-বৃক্ষ মধ্যে মধ্যে দেখিয়া থাক?” আমি উত্তর করিলাম, “না মহাশয়।” দাদা বলিলেন, “বৃক্ষ কিরূপ অবস্থায় আছে, এ বিষয়ের তত্ত্বাবধান না করা তোমার অন্যায়; অতএব তুমি বাটী যাইয়া ঐ বৃক্ষের তত্ত্বাবধান করিবে এবং বংশের মধ্যে কেহ যদি দেশাচারানুসারে বৈশাখ মাসে মূলে জল না দেয়, তুমি বৈশাখ মাসে প্রত্যহ জল সেচন করিবে।” পরে কথাপ্রসঙ্গে আমি বলিলাম, “নবকুমার