পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শ্বশুরের পরিচয়।
৭৯

মারিব। নালিশ-ফৌজদারী করিলে আর গাজন কি থাকিবে - চর এই কথা শুনিয়া চলিয়া যায়। পরে প্রতিপক্ষ সকলেই তাহার বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হন এবং ক্ষমা ভিক্ষা করেন। দলপতি হালদার বলেন,—“ভট্টাচার্য্য! তোমার বলপরীক্ষার জন্যই ঐরূপ করিয়াছিলাম। তুমি দ্বিতীয় ভীম বটে; তোমার শুধু বল নহে; মনুষত্ব্য আছে। তোমার তেজ আছে, তোমার ভবিষ্যৎ ভাবিবার বুদ্ধি আছে। আমায় ক্ষমা কর।”

 হালদারের কথা শুনিয়া ভট্টাচার্য্য বলিলেন,—“এ সব কথায় আর কাজ নাই; আজ আমার বাড়ীতে তোমাদের সকলকে খাইয়া যাইতে হইবে।”

 প্রতিপক্ষগণ ভট্টাচার্য্যের নিমন্ত্রণ পরমানন্দে রক্ষা করিয়াছিলেন। তাঁহারা ভট্টাচার্য্যের বাড়ীতে পরম পরিতোষপূর্ব্বক আহারাদি করিয়া বিদায় লইয়াছিলেন।

 আর এক সময় ভট্টাচার্য্য এক দোকানে বসিয়া আছেন, এমন সময় চারিমণী কলাই-বোঝাই এক ছালা আসিয়া উপস্থিত হয়। উপস্থিত সকলে বলিল,—“ভট্টাচার্য্য! তুমি যদি এই ছা্লা বহিয়া বাড়ী লইয়া যাইতে পার, তাহা হইলে তোমায় এই কলাই দি।” ভট্টাচার্য বলিলেন,—“পারি বটে; কিন্তু সোজা হইয়া যাইব না; দুই পা ও দুই হাত মাটীতে রাখিয়া গরুর মত চলিব; তোমরা আমার পিঠে এক থানি লেপ দিয়া তাহার উপর, কলাই চাপাইয়া দিবে।”

 তাহাই হইল। ভট্টাচার্য্য সেখান হইতে প্রায় আধক্রোশ দূরে সেই চারিমণী ছালা বহিয়া বলদের মত হাটিয়া বাড়ী গিয়াছিলেন। তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০০|৩০০ ও দুই শ তিন শ