এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অধ্যায়।
স্মৃতিতে প্রতিষ্ঠা, পিতৃভক্তির পরিচয়, বেদান্ত-পাঠ পিতৃঋণে কষ্ট,
ন্যায়-দর্শনে প্রতিষ্ঠা, ব্যাকরণের অধ্যাপকতা,
পাঠ-সমাপ্তি ও প্রশংসাপত্র।
অলঙ্কারের পাঠ সামাপ্ত হইলে পর, ১২৪৪ সালে বা ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র স্মৃতির শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। তৎকালে কলেজে স্মৃতির পূর্ব্বে ন্যায়-দর্শন ও তৎপরে বেদান্ত পড়িতে হইত। ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল, স্মৃতি পড়িয়া, “ল-কমিটি”র পরীক্ষা দিবেন। তৎপরে “ল কমিটি”র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া জজ পণ্ডিতের পদপ্রাপ্তিই তাহার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল।[১] কর্তৃপক্ষের অনুগ্রহে তিনি ভায়-দর্শন ও বেদান্ত পড়িবার পূর্ব্বে স্মৃতি পড়িবার আদেশ পান। ঈশ্বরচন্দ্রের বয়স তখন ১৭|১৮ সতর আঠার বৎসর হইবে। ঈশ্বরের অস্তুত কীর্ত্তি! ভাবিলে বিস্ময়ে রোমাঞ্চিত হইতে হয়। সচরাচর
- ↑ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের পূর্ব্বে সদর কোর্টের (এখনকার হাইকোর্ট) উকিল হইতে হইলে “ল” কমিটির পরীক্ষা দিতে হইত। “ল” কমিটি সদর কোটের অন্তর্গত ছিল। এ কমিটির অস্তিত্ব এখনও লো পায় নাই। কমিটি এখন “প্লিডারসিপ ও “মোক্তারসিপ পরীক্ষা গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে। ঐ বৎসর হইতে “ল একজামিনেসনের” প্রতিষ্ঠা হয়। অতঃপর নিয়ম হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে “ল” পাশ দিলে, তবে সদর কোর্টের উকিল হইবে; কমিটিতে পরীক্ষা হইবে না তদবধি কমিটি “প্লিডারশিপ” ও 'মোক্তারশিপ' পরীক্ষা করিতেছেন। পূর্ব্বে প্রত্যেক জিলার যথাশাস্ত্র ব্যবস্থা দিবার জন্য একজন ধর্ম্মশাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন। উহারা সচরাচর আদালতের জজ পণ্ডিত বলিয়া অভিহিত হইতেন।