পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সংস্কৃত রচনা।
১০৫

সর্ব্বেয়ামেব বন্যানামন্যোকর্ষণং ভবেৎ।
গুরুণা কৃষ্যতে তত্র লঘুম্বাভিমুখং যতঃ। ২৩৪।
আকর্ষতি ততো ভানুর্গ্রহান স্বাভিমুখৎ সদা।
তথাকর্ষতি পৃথীন্দুং যতোহন্য লঘুতা ততঃ। ২৩৫।
অর্কন্যাকর্ষণাদুর্দ্ধমধস্তাদাত্মনাং তথা।
ভ্রমন্তি নিয়তং মধ্যদেশে পৃথ্যাদয়ে গ্রহাঃ। ৩৬।

 এক সময় অধ্যাপক জয়গোপাল তর্কালঙ্কার মহাশয় “গোপালায় নমোহস্থ মে” এই চতুর্থ চরণ নির্দিষ্ট করিয়া এবং একঘণ্টা সময় দিয়া ছাত্রগণকে শ্লোকরচনায় নিযুক্ত করেন। গোপালের কথা কবিতার বিষয়ীভূত হইলে, বিদ্যাসাগর মহাশয় জিজ্ঞাসা করিয়ছিলেন,—“মহাশয়, আমরা কোন্‌গোপালের বর্ণনা করিব? এক গোপাল আমাদের সম্মুখে বিদ্যমান রহিয়াছেন; এক গোপাল বহুকাল পূর্ব্বে বৃন্দাবনে লীলা করিয়া অন্তহিত হইয়াছেন।” পণ্ডিত মহাশয় হাস্য করিয়া গোকুলের গোপাল সম্বন্ধে লিথিতে বলেন। বিদ্যাসাগরের শ্লোকরচনায় পণ্ডিত মহাশয় সন্তুষ্ট হইয়া, তাহার উৎসাহ বর্দ্ধন করেন। সেই শ্লোকগুলি এই—

গোপালায় নমোহস্ত মে।

যশোদানন্দকন্দায় নীলোৎপলদলশ্রিয়ে।
নন্দগোপালবালায় গোপালায় নমোহস্তু মে॥ ১॥
ধেনুরক্ষণদক্ষায় কালিনীকুলচারিণে।
বেণুবাদনশীলায় গোপালায় নমোহস্তু মে॥ ২।
ধৃতপীতদুকুলায় বনমালাবিলাসিনে।
গোপস্ত্রীপ্রেমলোলায় গোপালায় নমোহস্থ মে॥ ৩॥

১৪