পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিবিলিয়ান-পরীক্ষা।
১১৩

বীরসিংহ গ্রামে। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের তাৎকালিক সেক্রেটারী মার্সেল্ সাহেব তাঁহাকে তথা হইতে আনাইয়া এই পদে অভিষিক্ত করেন। এইখানে মার্সেল্ সাহেবের গুণগ্রাহিতার একটু পরিচয় দেওয়া প্রয়োজনীয়।

 প্রধান পণ্ডিতের পদ শূন্য হওয়ায় অনেকে সেই পদের প্রার্থী হন। কলিকাতা বহুবাজার-মলঙ্গপাড়া-নিবাসী কালিদাস দত্ত মার্সেল্ সাহেবের সবিশেষ সুপরিচিত ছিলেন। মার্সেল্ সাহেব কালিদাস বাবুকে বড় ভালবাসিতেন। কালিদাস বাবুর সনির্ব্বন্ধ অনুরোধ, —তাঁহার একজন পরিচিত পণ্ডিত ফেট উইলিয়ম্ কলেজের প্রধান পণ্ডিতপদে নিযুক্ত হন। মার্সেল্ সাহেব কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ঐ পদে নিযুক্ত করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি জানিতেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত ভাষায় সবিশেষ ব্যুৎপন্ন; অধিকন্তু একজন অসামান্য শক্তিশালী বুদ্ধিমান ব্যক্তি।

 কালিদাস বাবু সাহেবের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া দ্বিরুক্তি করিলেন না; বরং আনন্দসহকারে সাহেবের সে সৎপ্রস্তাবের সম্পূর্ণ পোষকতা করেন। কালিদাস বাবু ঈশ্বরচন্দ্রের দক্ষতা ও বিদ্যাবুদ্ধিমত্তা-সম্বন্ধে আদৌ সন্দিহান ছিলেন না।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের প্রধান পণ্ডুিত করা, মার্সেল সাহেবের একান্ত ইচ্ছা, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পিতা এ সংবাদ পাইয়া, বীরসিংহগ্রাম হইতে পুত্রকে কলিকাতায় লইয়া আসেন। মার্সেল্ সাহেবের এই গুণগ্রাহিতা দেখিয়া অনেকেই সাহেবকে ধন্যবাদ করিয়াছিলেন। সত্য সত্যই মার্সেল্ সাহেব প্রকৃত সহৃদয় গুণগ্রাহী লোক ছিলেন। তদানীন্তন

১৫