পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
বিদ্যাসাগর।

সিবিলিয়ান, সওদাগরপ্রভৃতি সকল সাহেব সম্প্রদায়ের প্রায় এইরূপ সহৃদয়তা ও গুণগ্রাহিতার পরিচয় পাওয়া যাইত।

 ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের প্রধান পণ্ডিতের বেতন ৫০ পঞ্চাশ টাকা। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পূর্ব্বে মধুসূদন তর্কালঙ্কার মহাশয় এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁহার মৃত্যু হওয়ায় বিদ্যাসাগর মহাশয় এই পদ প্রাপ্ত হন।

 বিলাত হইতে যে সকল সিবিলিয়ান ভারতে চাকুরী করিতে আসিতেন, তাহাদিগকে এই ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজে বাঙ্গালা, হিন্দী, উর্দু ও পার্শী শিখিতে হইত। ইহাতে উত্তীর্ণ হইতে পারিলে তাঁহারা কর্ম্মে নিযুক্ত হইতে পারিতেন। এই সকল ভাষার সাহেব পরীক্ষকদিগকে সাহায্য করিবার এবং সিবিলিয়ানদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য পণ্ডিত ও মৌলবী নিযুক্ত থাকিতেন। যে সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের প্রধান পণ্ডিত হন, সে সময় এখনকার মত বিলাতে প্রতিযোগিনী সিবিলিয়ান-পরীক্ষা ছিল না। তখন মনোনীত হইয়া তত্রত্য “হলিবরী কলেজে” পড়িতে হইত এবং তৎপরে সিবিলিয়ান হইয়া এদেশে আসিতে হইত।[১] এই সকল সিবিলিয়ান তখন “রাইটার্স অব দি কোম্পানী” নামে অভিহিত হইতেন। এই জন্য তাঁহারা যে বাড়ীতে থাকিতেন, তাহার নাম ছিল, “রাইটার্স বিল্ডিং"। এই রাইটার্সবিল্ডিং হইতে বর্ত্তমান “রাইটার্স, বিল্ডিং” নাম। এখন কলিকাতার যেখানে “রাইটার্সবিল্ডিং,”

  1. ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে বা ১২৬১ সালে নির্ব্বাচন-প্রণালীর পরিবর্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রথা প্রবর্ত্তিত হয়। এ প্রথা এখনও প্রচলিত।