পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
বিদ্যাসাগর।

শিক্ষা-প্রণালী প্রবর্তিত হইবার পূর্ব্বে, অনেকের স্বাভাবিকী প্রবৃত্তি পরিচালনার সুযোগ ঘটিয়াছিল। সেই জন্য অনেকে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি-সম্মত বিষয়ে ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া আত্মোৎকর্ষের পরিচয় দিতে পারিতেন। এ আত্মোৎকর্ষ-তত্ত্ব সম্বন্ধে ১৩০১ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসের “সাধনায়”[১] চিন্তাশীল লেখক শ্রীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কয়েকটা যুক্তি-সঙ্গত কথা বলিয়াছেন। কথাগুলি এই ——

 “যদি কোন পাঠশালা বা বিশ্ববিদ্যালয় তাহার অধীনস্থ ছাত্রদিগকে এক ছাঁচে ঢালিবার চেষ্টা করে, অর্থাৎ তাহাদের প্রত্যেকের নিজত্ব না ফুটাইয়া তুলিয়া যদি একটা সাধারণ আদর্শে সকলকেই গঠিত করিবার প্রয়াস পায়, তবে বুঝা যায় যে, সে পাঠশালা বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত শিক্ষাবিধানে নিতান্ত অযোগ্য ও অসমর্থ। প্রকৃত শিক্ষা কি? না, আত্মোৎকর্ষ স্বাধন—উন্নতি সাধন। যাহা আত্মার অভ্যন্তরে গৃঢ়ভাবে থাকে, তাহা উপর দিকে আনা-উন্নয়ন করা-নিজত্বের কর্ষণ করা—নিজেকে নিজের যথার্থ অনুরূপ করিয়া তোলা। কোন ব্যক্তিবিশেষকে একটা স্থানীয় আদর্শের কিম্বা লৌকিক আদর্শের অনুরূপ করিয়া গঠন করিতে গেলে, শিক্ষার উদ্দ্যেশ্য বিফল হইয়া যায়।

 স্বাভাবিক প্রবৃত্তি-প্রণোদনে আত্মোৎকর্ষের কিরূপ সুবিধা, তাহার দৃষ্টান্ত-স্বরূপ, পুত্ররো ও কলরাডোর সরকারী পাঠশালার “ব্যক্তিগত শিক্ষা প্রণালীর” কথা উল্লিখিত হইয়াছে। এখানকার বিদ্যালয়ে “প্রতোক ঘরে কতকগুলি ছাত্র পৃথক পৃথক ভাবে

  1. মাসিক পত্রিকা—শ্রীসুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত। এখন নাই।