পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বাভাবিক প্রবৃত্তি।
১২১

আপন আপন কাজ করে, শিক্ষক তাহাদিগকে সারি সারি দাঁড় করাইয়া কিংবা মনোরঞ্জন করিবার চেষ্টা করিয়া অথবা লেকচার দিয়া কিংবা ব্যাখ্যা করিয়া সময় নষ্ট করেন না। তিনি কেবল প্রত্যেকের ডেস্কের নিকট গিয়া ছাত্রদিগের সহকারি-স্বরূপ হইয়া উৎসাহ ও উপদেশ প্রদান করেন।”

 শিক্ষা-সাধন-সম্বন্ধে যে কথা, বৃত্তি-নির্বাচন-সম্বন্ধেও সেই কথা। এতৎ-সম্বন্ধেও ১৩০০ সালের চৈত্র মাসের সাধনায় জ্যোতিরিন্দ্র বাবু লিখিয়াছেন,—“অনেক সময় দেখা যায়, যে কর্ম্ম যাকে সাজে, সে কর্ম্ম সে পায় না বা করে না। যে ডাক্তার হইবার উপযুক্ত, সে হয় তো আইন ব্যবসায় অবলম্বন করিয়াছে, যে আইন ব্যবসায়ের উপযুক্ত, সে হয় তো ইঞ্জিনিয়রের কাজ করিতেছে। এইরূপ অনুপযোগী কাজে প্রবেশ করিয়া কেহই সফলতা লাভ করিতে পারে না,—তাহার সমস্ত পরিশ্রম পণ্ড হইয়া যায়।” জ্যোতিরিন্দ্র বাবুর মতে কে কোন, কাজের উপযুক্ত, তাহা তাহার দৈহিক ও মানসিক লক্ষণে কতক বুঝা যায়। কোন কোন য়ুরোপীয় দার্শনিকের ও এই মত; কিন্তু এরূপ মতমীমাংসার অনেক সময় ব্যত্যয় দেখা যায়। ডাক্তার গিলবাট মীমাংসা করেন, যাহারা বুদ্ধিজীবী ও প্রতিভাশালী, তাঁহাদের মস্তক বৃহৎ; কিন্তু আলেকজাণ্ডার, জুলিয়স সিজর, ফ্রেডরিক দি গ্রেটু, বায়রন, বেকন, প্লেটো, আরষ্টটল প্রভৃতি প্রতিভাশালী লোকদিগের মস্তক সম্বন্ধে আলোচনা করিলে, বিপরীতে মীমাংসায় উপস্থিত হইতে হয়।

 এরূপ অবস্থায় দৈহিক-মানসিক লক্ষণ নির্ণয়ে, বৃত্তি-নির্ব্বা

১৬