পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অক্ষয় দত্তের সহিত পরিচয়।
১২৫

অক্ষয়কুমার ও বিদ্যাসাগরের এ শুভ সংযোগ কয় জন বাঙ্গালী স্মরণ করেন?

 অক্ষয়কুমার বাবুর প্রস্তাবে এবং তত্ত্ববোধিনী সভার অন্যান্য সভ্যগণের সমর্থনে, বিদ্যাসাগর মহাশয় তত্ত্ববোধিনী সভার অন্তর্গত “পেপার-কমিটীর” অন্ততম সদস্য পদে প্রতিষ্ঠিত হন।[১] এই সূত্রে তিনি স্বৰ্গীয় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু মানাম্পদ হইয়াছিলেন। বলিয়া রাখি, ব্রাহ্ম-সমাজেব সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোন সম্বন্ধ ছিল না। “পেপার কমিটী” বা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সঙ্গে সম্বন্ধ ছিল, কেবল সাহিত্যের সংস্রবে, ধর্ম্মের টানে নহে। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় কোন প্রবন্ধ প্রকাশ করিবার পূর্ব্বে, অক্ষয় বাবুকে ও তৎসম্বন্ধে “পেপার-কমিটী”র সভ্যদিগের মতামত লইতে হইত। তাহার একটা প্রমাণ নিম্নে প্রকাশ করিলাম,—

  1. কিছুদিন তত্ত্ববোধিনী সভার অন্তর্গত গ্রন্থাধ্যাক্ষ নামে একটী সভা ছিল। ঐ সভার সভ্যদের নাম গ্রন্থাধ্যক্ষ এবং অক্ষয় বাবুর উপাধি গ্রন্থ সম্পাদক ছিল। তত্ত্ববোধিনী সভা হইতে যে কোন পুস্তক বা প্রবন্ধ মুদ্রিত হইত, তাহা গ্রন্থাধ্যক্ষের সম্মতি লইয়া মুদ্রিত করিতে হইবে, এইরূপ ব্যবস্থা থাকে। তত্ত্ববোধিনী সভা দেবেন্দ্র বাবুর স্নেইপাত্রী। তিনি অন্যত্র কোন সদ্বব্যবস্থা দেখিলে,তাহা ঐ সভাতেও প্রবর্ত্তিত করার ইচ্ছা করিতেন। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটীর পেপার কমিটী দেখিয়া, তত্ত্ববোধিনী সভাতেও তদনুরূপ গ্রন্থাধ্যক্ষ সভা প্রবর্ত্তিত করেন। ইহাতে উপকারও দর্শিয়াছিল।অবিশুদ্ধ ভাষায় লিখিত বা অন্যরূপে দুষিত, কোন প্রবন্ধ বা গ্রন্থ মূদ্রিত হইতে পারিত না। এমন কি গ্রন্থ্যাধ্যক্ষ-বিশেষের বিরচিত প্রবন্ধও কখনও কখনও অধিকাংশে মতাক্রমে অগ্রাহ্য হইয়াছে।আনন্দকৃষ্ণ বসু,রাজনারায়ণ বসু, রাজেন্দ্রলাল মিত্র,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাধাপ্রসাদ রায়,শ্যামাচরন মুখোপাধ্যায়,প্রসন্নকুমার সর্ব্বাধিকারী,আনন্দ চন্দ্র বেদান্তবাগীশ এই সভার সভ্য ছিলেন। বিদ্যাসাগরের