পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গুণবানের পুরস্কার।
২০৩

মহাশয়ের অনেকটা সাহায্য লইতে হইত। প্রশ্ন-সঙ্কলনের জন্য প্রকৃত পারিশ্রমিক না হউক, পুরস্কার স্বরূপ উভয়েই কিছু কিছু অর্থ পাইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, একটী সৎকার্য্যে সে অর্থের ব্যয় করেন। সিনিয়র পরীক্ষায় রামকমল ভট্টাচার্য্য, কাব্যে ও অলঙ্কারে সর্বপ্রথম হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় আপনার পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অর্থ হইতে তাঁহাকে সমগ্র সংস্কৃত মহাভারত ক্রয করিয়া দিয়াছিলেন। যে অর্থ অবশিষ্ট ছিল, তাহা দীনদরিদ্রে বিতরিত হইয়াছিল।

 রামকমল ভট্টাচার্যাকে বিদ্যাসাগর মহাশয় যে পুরস্কার দিয়াছিলেন, তাহার জন্য তাঁহাকে তদানীন্তন শিক্ষা-বিভাগের (এডুকেশন কৌন্সিলের) কর্তৃপক্ষের সম্মতি লইতে হইয়াছিল। ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয় অনুমতি পাইবার জন্য কৌন্সিলে পত্র লিথিয়ছিলেন। কৌন্সিল ১২ই ডিসেম্বর পত্র লিখিয়া সম্মতি প্রদান করেন। কৌন্সিল বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এই কাজটকে তাঁহার বদান্ততার উপযোগী বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন।

 ১২৫৬ সালে ৩০শে কার্ত্তিক বা ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে ১৪ই নবেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রীযুক্ত নারায়ণচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। ইহার কিছুদিন পর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আবার ভ্রাতৃবিয়োগ ঘটে। তাঁহার পঞ্চম সহোদর হরিশ্চন্দ্র কলিকাতায় আসিয়াছিলেন। বয়স তাহার আট বৎসর মাত্র। কলিকাতায় আসিবার কিয়দ্দিন পরে তাঁহার ওলাউঠা রোগে মৃত্যু হয়। বলা বাহুল্য, বিদ্যাসাগর মহাশয় ভ্রাতৃশোকে বড়ই কাতর হইয়া পড়েন। এই সময়ে তিনি শোকাতুরা জননীকে সান্ত্বনা করি-