পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



ত্রয়োদশ অধ্যায়।

সাহিত্যাধ্যাপকতা, কৈফিয়ৎ, তর্কালঙ্কারের পত্র,

রিপোর্ট ও জীবন-চরিত।

 ১২৫৭ সালে ২৫শে অগ্রহায়ণ বা ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে ৯ই ডিসেম্বর সোমবার বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যাধ্যাপকপদ প্রাপ্ত হন। এই পদের বেতন ছিল ৯০৲ নব্বুই টাকা। তিনি ৮ই ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের “হেড রাইটারী” পদ পরিত্যাগ করেন। শিক্ষা-সমাজের অধ্যক্ষ মার্সেল সাহেবের অনুরোধে তিনি সংস্কৃত কলেজের পদগ্রহণে সম্মত হন। ইহার পুর্ব্বে মদনমোহন তর্কালঙ্কার সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যশাস্ত্রের অধ্যাপকতা করিতেন। তিনি মুরশিদাবাদের জজপণ্ডিত হওয়ায় এই পদ শূন্য হয়।[১]বিদ্যাসাগরের অনুরোধে তাঁহার প্রিয় শিষ্য ও সোদরসম মিত্র রাজকৃষ্ণবাবু ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের “হেড রাইটর” পদে নিযুক্ত হন। ইহার পুর্ব্বে রাজকৃষ্ণ বাবু জডিন কোম্পানীর বাড়ীতে “খাজাঞ্চি” ছিলেন।

 বিদ্যাসাগর মহাশয যখন সাহিত্যাধ্যাপক পদে নিযুক্ত হইবার জন্য অনুরুদ্ধ হইয়াছিলেন, তখন তিনি স্পষ্টই বলিয়াছিলেন, “আমাকে যদি শীঘ্রই কলেজের অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত করা হয়, তাহা হইলে এ পদ গ্রহণ করিব।” শিক্ষা-সমাজের অধ্যক্ষ মওয়েট

  1. * “জজপণ্ডিতি” পদ প্রাপ্ত হইবার কয়েক মাস পর তর্কালঙ্কার মহাশয় ডিপুট ম্যজিষ্ট্রেট হন।