পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৮
বিদ্যাসাগর।

হে! কি বলিব ও কি লিখিব; আমি এই সবডিভিজনে আসিয়া অবধি যেন মহা অপরাধীর ন্যায় নিতান্ত ম্লান ও স্ফুর্ত্তিহীনচিত্তে কর্ম্ম-কাজ করিতেছি। অথবা আমার অসুখের ও মনোগ্লানির পরিচয় আর কি মাথা-মুণ্ড জানাইব, আমার বাল্যসহচর, একহৃদয়, অমায়িক সহোদরাধিক পরম বান্ধব বিদ্যাসাগর আজি ছয় মাস কাল হইতে আমার সঙ্গে বাক্যালাপ করে নাই। আমি কেবল জীবন্মতের ন্যায় হইয়া আছি। শ্যাম! তুমি আমার সকল জান, এই জন্যে তোমার নিকট এত দুঃখের পরিচয় পাড়িলাম।”

 তর্কালঙ্কার মহোদয়ের জামাতা ও তদীয় চরিতাখ্যায়ক শ্রীযুক্ত পণ্ডিত যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় এই পত্রকে অপ্রামাণিক পত্র বলিয়াছেন।

 আমরা বিশ্বস্তসূত্রে অবগত হইয়াছি, “এডুকেশন কৌন্সিলের” সেক্রেটারী ময়েট্ সাহেবের নির্ব্বন্ধতাতিশয্যেই বিদ্যাসাগর মহাশয়, সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যাধ্যাপক পদ গ্রহণ করেন। পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন মহাশয় ও তাঁহার “বাঙ্গালী ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক"প্রস্তাবে এই কথাই লিথিয়াছেন।

 সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যাধ্যাপক হইয়াই কলেজের শিক্ষাপ্রণালী সম্বন্ধে “রিপোর্ট” লিখিবার জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয় ময়েট্ সাহেব কর্ত্তৃক অনুরুদ্ধ হন। শিক্ষা-বিভাগের কর্তৃপক্ষেরা এই সময সংস্কৃত কলেজের অচির-অস্তিত্বলোপের আশঙ্কা করিয়াছিলেন। এইরূপ আশঙ্কার কারণও ছিল। সংস্কৃত কলেজে পূর্ব্বের ন্যায় ছাত্র ভর্ত্তি হইত না। ক্রমেই ছাত্রসংখ্যা কম হইয়া আসিতেছিল। ছাত্রসংথ্যা হ্রাসের বলবৎ কারণও উপস্থিত হইযাছিল। সংস্কৃত কলেজের পাঠ-সমাপনে অনেক সময় লাগিত; পরন্তু