পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রিপোর্ট।
২১৯

 (১) সাহিত্য-দর্পণ।   (৩) কাব্য-দর্শন।

 (২) কাব্য-প্রকাশ।   (৪) রসগঙ্গাধর।

 সাহিত্য-শ্রেণীতে যে সমস্ত পদ্য-গ্রন্থ পাঠ করিবার তাহাদিগের অবসর থাকে, এস্থলে তাহারা সেই পদ্য-গ্রন্থসমূহ পাঠ করে। এতদ্বব্যতীত তাহাদিগকে অনুবাদ ও রচনা শিক্ষা করিতে হয়। তাহাদিগকে আবার গণিতশ্রেণীতে গমন করিতে হয়। এই গণিত শ্রেণীসম্বন্ধে আমি নিন্মলিখিত পরিবর্ত্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। অলঙ্কার সম্বন্ধে কাব্যপ্রকাশ ও দশরূপক অতি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ। কিন্তু সচরাচর সাহিত্যদর্পণই পঠিত হইয়া থাকে। কিন্তু আমি নিম্নলিখিত কারণে কাব্যপ্রকাশ ও দশরূপক গ্রন্থদ্বয়কে অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট বলিয়া স্বীকার করি।

কাব্যপ্রকাশ, সাহিত্যদর্পণ অপেক্ষা সর্ব্ববিষয়ে গাম্ভীর্য্যপূর্ণ গ্রন্থ। সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিবেন যে, অলঙ্কারশাস্ত্র বিষয়ে ইহা একখানি শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। মল্লিনাথের ন্যায় উৎকৃষ্ট টীকাকারগণ তাঁহাদিগের ব্যাখ্যায় পুনঃ পুনঃ ইহার উল্লেখ করিয়াছেন; কিন্তু কাব্যপ্রকাশে নাটকরচনা সম্বন্ধে কোন উল্লেখ নাই। দশরূপকে অলঙ্কারশাস্ত্রের উক্ত বিভাগে সবিশেষ আলোচনা করা হইয়াছে। বিশেষতঃ নিজ বিভাগে ইহা অতি শ্রেষ্ঠ বলিয়া পরিগণিত। সাহিত্যদর্পণ অপেক্ষা কাব্যপ্রকাশ ও দশরূপক, অপেক্ষাকৃত অল্পসময়ে পঠিত হইতে পারে। তন্নিমিত্ত কাব্যপ্রকাশ ও দশরূপক, সাহিত্যদর্পণের স্থান অধিকার করিতে পারে। উক্ত গ্রন্থদ্বয় পাঠ করিবার পরে অপরটী অধ্যয়ন করা কেবল সময় নষ্ট মাত্র। যদি ব্যাকরণশ্রেণী-সংক্রান্ত আমার বক্তব্যগুলি গৃহীত হয়, তবে অলঙ্কারশ্রেণীতে কেবল সাহিত্যবিষয়ক গ্রন্থাদি পাঠের আবশ্যকতা