পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রিপোর্ট।
২৩১

করা হউক। আর এই নিয়ম প্রচলিত হউক যে, বৃত্তিসংক্রান্ত নিয়মানুযায়ী সময়ের অতিরিক্ত কাল কেহই কলেজে পাঠ করিতে পারিবে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এরূপ বন্দোবস্ত প্রচলিত হইলে, মধ্যবিৎ ছাত্রাপেক্ষা অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমান্ ছাত্রেরা নির্দিষ্ট সময়ের কমেও নিজ নিজ পাঠ শেষ করিতে সমর্থ হইবে।

 বর্ত্তমান সময়ে বিদ্যালয়ে সুবন্দোবস্তের অভাব সকলেরই বিশেষ পরিচিত। বালকগণের উপস্থিতি, সামান্য কারণে শ্রেণী পরিত্যাগ করিয়া বাহিরে যাওয়া ও অনাবশ্যক গোলমাল ও কথা- বার্ত্তা এবং সর্ব্বপ্রকার গোলযোগ সম্বন্ধে আমাদিগের বিশেষ দৃষ্টি রাখা কর্ত্তব্য। অন্যান্ত ইংরেজী বিদ্যালয়ে যেরূপ নিয়মাদি ও সুশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, এই বিদ্যালয়ে কেন যে তাহা প্রবর্ত্তিত হইবে না, তাহার কারণ বুঝিতে পারি না, সেইরূপ প্রণালী এ বিদ্যালয়েও প্রতিষ্ঠিত হওয়া নিতান্ত উচিত।

 অবশেষে নিবেদন এই যে, কলেজের সুবন্দোবস্তের নিমিত্ত আমি যে প্রস্তাবের অবতারণা করিয়াছি, তাহা বহু দিবসের প্রগাঢ় চিন্তা ও বিবেচনার ফল। আমার বিবেচনায় যে প্রণালীর অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে নিতান্তই প্রয়োজনীয়,আমি কেবল তাহারই উল্লেখ করিয়াছি ও আশা করি যে, যদি কৌন্সিল আমার প্রস্তাবিত পরামর্শগুলি কার্য্যে পরিণত করেন, তবে অল্পদিনের মধ্যেই অতি সু-ফল উৎপন্ন হইবে ও বিদ্যালয়টা পবিত্র ও প্রকৃত সংস্কৃত বিদ্যার আগার স্বরূপ হইবে। বিশেষতঃ ইহা হইতে জাতীয় সাহিত্যের উৎপত্তি ও সুশিক্ষকের সংঘটন হইতে থাকিবে ও এই বিদ্যালয় হইতে সুশিক্ষা প্রাপ্ত হইয়া সুদক্ষ শিক্ষকগণ সাধারণের মধ্যে