পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩২
বিদ্যাসাগর।

জাতীয় বিদ্যা প্রচার করিয়া দেশের সর্ব্বতোভাবে মঙ্গলসাধন করিতে থাকিবেন।

সংস্কৃত কলেজ
১৬ই ডিসেম্বর
১৮৫৮ সাল

(স্বাক্ষর) ঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা

 রিপোর্টে কেবল সহজ শিক্ষা প্রণালী উদ্ভাবিত নহে; সংস্কৃত কলেজের সমগ্র সংস্কৃত পাঠ্য সংক্ষেপে সমালোচিত হইয়াছে। একাধারে এক সংস্কৃত পাঠ্যের এরূপ সমালোচনা আর কোথাও পাওয়া যাই না। ধর্ম্মশাস্ত্র পাঠ বিরতির প্রস্তাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ধর্ম্মপ্রবৃত্তিরও একটা গতিনির্ণয় হয়। রিপোর্টের ইংরেজী সহজ, সরল ও সংযত। প্রয়োজনীয় কথাগুলি বিনা- বাক্যাড়ম্বরে সাজাইয়া গুছাইয়া বলা হইয়াছে।

 রিপোটপঠে শিক্ষা বিভাগের কর্ত্তৃপক্ষের পরম প্রীতি লাভ করিয়াছিলেন। সংস্কৃত কলেজের লোপাশঙ্কা তাঁহাদের অনেকটা কমিয়া আসিয়াছিল। বস্তুতঃ রিপোর্ট লেখার, গুণে বিদ্যাসাগর মহাশয় শিক্ষাবিভাগে যথেষ্ট যশোলাভ করিয়াছিলেন। তাহার পর এক ভূদেব বাবু ভিন্ন রিপোর্ট লিখিয়া শিক্ষাবিভাগে এতাদৃশ যশস্বী কেহই হন নাই। বিশ্যাসাগর মহাশয় ও ভূদেব বাবুর চরিত্রে ও কর্ম্মে বৈচিত্র্য যতই থাকুক, নানা গুণে তাঁহারা উভয়েই বাঙ্গালায় বরণীয়; পরন্তু শিক্ষাবিভাগেরও চিরস্মরণীয়। আর কোন কারণ না থাকিলেও, তাঁহারা এক শিক্ষা তত্ত্ব সম্বন্ধে ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করিতেন। রিপোর্ট লেখার গুণে উভয়েই পদ, সম্পদ, সম্মান, সম্বম,—এই সকল বিষয়েরই পথ