পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চতুর্দ্দশ অধ্যায়।

রসময় দত্তের কর্ম্মত্যাগ, বিদ্যাসাগরের প্রিন্সিপাল পদ, কার্য্য-ব্যবস্থা, ছাত্র-প্রীতি, কায়িক দগুবিধানের নিষেধাজ্ঞা, রহস্যপটুতা, শিরঃপীড়া, বীটন স্কুলের সম্বন্ধ ও বোধোদয়।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় কর্তৃক সংস্কৃত কলেজের শিক্ষা-প্রণালী সম্বন্ধে রিপোর্ট শিক্ষা বিভাগে প্রদত্ত হইলে পর, কলেজে সেক্রেটরী বাবু রসময় দত্ত, কর্ম্মত্যাগের জন্য আবেদন করেন। এই আবেদন করিবার পূর্ব্বে রসময় বাবুর কোন কার্য্যপর্য্যালোচনা জন্য একটা কমিটি বসিয়াছিল। কমিটীর ফলে রসময় বাবু বুঝিয়া- ছিলেন,তাঁহার কার্য্য ত্যাগ করাই শ্রেয়ঃকল্প। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাতেও যখন বিদ্যাসাগর মহাশয় শিক্ষাপ্রণালী সম্বন্ধে রিপোর্ট দিতে আদিষ্ট হন, তখন তাঁহার ধারণা হইয়াছিল, কর্তৃ পক্ষীয়েরা বিদ্যাসাগর মহাশয়কেই অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত করিবেন। এই সকল ভাবিয়াই তিনি কার্য্য পরিত্যাগ করেন। রামগতি ন্যায়-রত্ন মহাশয়ও লিখিয়াছেন—

 “মদনমোহন তর্কালঙ্কার মুর্শিদাবাদের জজ-পণ্ডিত হইয়া আসিলে, সংস্কৃত কলেজর সাহিত্যধ্যাপকের পদ শূন্য হয়। মৌয়েট সাহেব পীড়াপীড়ি করিয়া ১৮৫১ খৃঃ অব্দের ডিসেম্বর মাসে ৯০ টাকার বেতনে বিদ্যাসাগরকে এ পদে নিযুক্ত করিয়া ছিলেন। ঐ নিয়োগকালে এডুকেশন কাউন্সিলের মেম্বরেরা সংস্কৃত কলেজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং উহা উত্তরকাল কিরূপ হওয়া উচিত, তদ্বিষয়ে রিপোষ্ট করিবার জন্য তাঁহাকে আদেশ