পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



পঞ্চদশ অধ্যায়।

সংস্কৃত কলেজে শূদ্র-ছাত্রগ্রহণের ব্যবস্থা, কলেজের বেতন-ব্যবস্থা, উপক্রমণিক ব্যাকরণ, বীরসিংহে ডকাইতি, আত্মরক্ষার কৈফিয়ত, ডাকাইতির কারণ, নীতিবোধের রচনা, ঋজুপাঠ ও কৌমুদী ব্যাকরণ,শিক্ষা-প্রণালীর পরিবর্ত্তন, পাঠ্যপ্রণয়ন-সভা, বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যালয়, বেতনবৃদ্ধি ও বিদ্যালয়ের ব্যয়।

 সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় মনে করিতেন, সংস্কৃত কলেজে শূদ্রজাতিরাও শিক্ষা পাইবে না কেন? তখন কেবল ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈদ্য জাতি শিক্ষা পাইতেন। যাহাতে কায়স্থ ও অন্যান্য জাতি সংস্কৃত-শিক্ষালাভ করেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রিন্সিপাল-পদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া তৎপক্ষে বদ্ধপরিকর হন। তিনি শিক্ষা-সভায় আপন অভিপ্রায় বাক্ত করেন। কলেজের প্রধান প্রধান অধ্যাপকগণ ঘোরতর আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগৰ মহাশয় আপন পক্ষ সমর্থনার্থ স্বকীয় স্বভাবোচিত দৃঢ়তাসহকারে, নানা বচন-প্রমাণ-প্রয়োগে এবং ইংরেজ-কর্তৃপক্ষের মনোরঞ্জক বহুবিধ যুক্তি-তর্কবলে বিপক্ষপক্ষের মত খণ্ডন করিতে সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিয়াছিলেন।[১]

  1. সংস্কৃত কলেজে ব্রাহ্মণ ও বৈদ্য ব্যতীত অন্ধ্য বর্ণের ছাত্র লওয়া যাইতে পারে কি না, শিক্ষাবিভাগের কর্তৃপক্ষেরা তৎসম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে রিপোর্ট লিখিতে বলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ১৮৫১ খুঃ অব্দের ২৯ মার্চ বা ১২৫৭ সালের ৮ই চৈত্র এক রিপোর্ট লিখেন। রিপোর্টে তিনি মত দেন