পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষোড়শ অধ্যায়।

স্কুল ইন্সপেক্টরী পদ প্রাপ্তি, নর্ম্মল স্কুল, সফরে সহৃদয়তা, মাতৃনামে উচ্ছ্বাস, জননীর দয়া, আনুগত্য-পালন, বন্ধুর আদর, সংগ্রহে আগ্রহ, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব, দান-পদ্ধতি, সংস্কৃত কলেজে ইংরেজির প্রসার ও শকুন্তলা।

 ১২৬২ সালে বা ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে যখন গভর্ণমেণ্টের সাহায্যে মফঃস্বলে বাঙ্গালা ও ইংরেজি বিদ্যালয় সংস্থাপিত করা রাজপুরুষদের অভিপ্রেত হয়, তখন হালিডে সাহেব, বিদ্যাসাগরকে তাঁহার মতে যে প্রণালীতে বাঙ্গালা শিক্ষা হওয়া উচিত, তদ্বিষয়ে এক রিপোর্ট দিতে বলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় রিাপোট লেখেন। কর্ত্তৃপক্ষেরা তাহাতে সন্তুষ্ট হইয় তাঁহাকে আসিষ্টাণ্ট স্কুল ইন্‌স্পেক্টরী-পদ দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রিন্সিপালের পদ ছাড়া ইন্‌স্পেক্টারের পদ প্রাপ্ত হইলেন। এ পদের বেতন দুই শত টাকা। মোট বেতন হইল পাঁচ শত টাকা। হুগলী, বৰ্দ্ধমান, নদীয়া ও মেদিনীপুর জেলায় স্কুল স্থাপন ও পরিদর্শন করাই ইনস্পেক্টরের কার্য্য হইল।

 ঐ বৎসর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চেষ্টায় নর্ম্মাল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। নর্ম্মাল স্কুলে পড়িয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে, অন্যান্য স্কুলে শিক্ষকতা করিবার অধিকার জন্মিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুরোধে প্রথমে অক্ষয়কুমার দত্ত এবং পরে পণ্ডিত রামকমল ভট্টাচার্য্য নর্ম্মাল স্কুলের হেড মাষ্টার হইয়াছিলেন।