পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৬
বিদ্যাগসার।

বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহাকে গৃহনির্ম্মাণের সমস্ত ব্যয় দিয়াছিলেন।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বৈবাহিক (কলিষ্ঠ কম্ভার শ্বশুর) ৺জগদ্দুর্ল্লভ চট্টোপাধ্যায় ভাল গাহিতে পারিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁহাকে প্রায়ই বাড়ীতে আহবান করিয়া তাহার গান শুনিতেন; অন্য গান গুনিতেন না; কেবল ষে গানে “মা” “মা” থাকিত, সেই গানই শুনিতেন। গানে সথ, ছিল না; কিন্তু মাতৃনামপূর্ণ গানে প্রাণ মাতিয়া উঠিত। মাতৃ-ভক্তের এমনই প্রাণ বটে!

 বিদ্যাসাগর যেমন, তাঁহার পিতামাতা ও তদ্রুপ। অন্নদানে পিতার অপার আনন্দ! প্রতিপাল্য অন্নার্থীদিগের জন্য তিনি প্রত্যহ স্বয়ং বাজার হাট করিয়া আনিতেন। আর অন্নপূর্ণরূপিণী বিদ্যাসাগর-জননী অন্নব্যঞ্জনাদি প্রস্তুত করিয়া পরিবেশন করিতেন। এ সম্বন্ধে, অনেক কথা শুনা যায়। নারায়ণ বাৰু বলিয়াছেন,— “ঠাকুর মা গ্রামের অবস্থাহীন চাষাভূষো লোককে টাকা কড়ি ধার দিতেন। যাহারা সহজে ধার শুধিতে পারত না, তিনি স্বয়ং তাহাদের বাড়ীতে টাকা আদায় করিতে যাইতেন; কখন কখন খুব চটিয়া গিয়া টাকা চাহিতেন। বলিতেন,— তোর যদি টাকা না দিবি, তবে আমি আর কি করে টাকা ধার দিব? তাহাকে রাগিতে দেখিয়া, কেহ কেহ তাঁহাকে নানা কথায় তুষ্ট করিবার চেষ্টা করিত; কেহ বা দু-ফোঁটা চক্ষের জল ফেলিয়া ছঃখের কথা জানাইত; আর কেহ বা বিদ্যাসাগরের নাম করিয়া ভগবানের কাছে, তাঁহার মঙ্গল কামনা করিত। তখন ঠাকুর-মার রাগ থাকিত না। আগুন জল হইয়া যাইত। তিনি তখন