পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর।

জীবনী লেখা আবশ্যক হয়। পাঠক! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের উদ্ভাবনাশক্তির পরিচয়, পাইবেন। যিনি প্রতিভাবলে প্রকৃতির উচ্চ স্তরে দণ্ডায়মান হইয়া ইঙ্গিতে উন্নতির সহস্র পথের যে কোন পথ দেখাইয়া থাকেন, আর নিম্ন স্তরের লোকসমূহ তাঁহাকে ধরিবার জন্য স্তর বাহিয়া উঠিতে চেষ্টা করে, তাঁহার জীবনীর প্রয়োজন আছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনীপীঠে এ কথার সার্থকতা সম্যকরূপে প্রতিপন্ন হইবে। প্রকৃত প্রতিভায় “চৌম্বক” আকর্ষণের অসীম শক্তি। মানুষ যেখানে যত দূরেই থাকুক, আকর্ষণ এড়াইবার যো নাই। যেখানে এরূপ একটি “চুম্বক” থাকিবে, সেইখানে কোটি জীব আকৃষ্ট হইবে।

 প্রতিভা স্বর্গের দেবতা। প্রতিভা পূজক সর্ব্বস্ব দিয়া প্রতিভার পূজা করিয়া থাকেন। চিন্তাশীল এমারসন বলিয়াছেন,—“তুমি বল,—ইংরাজ কাজের লোক —জর্ম্মাণ সহৃদয় অতিথি-সেবক;— ভালেনসিয়ার জলবায়ু অতি মনোরম—সক্রোমেণ্টে পাহাড়ে প্রচুর সোণা পাওয়া যায়; কথা ঠিক বটে; কিন্তু আমি-এ সব সুখশালী, ধনী এবং অতিথি সেবক লোকদিগকে দেখিতে বা নির্ম্মল জলবায়ুর সেবন করিতে অথবা বহুব্যয়ে স্বর্ণ সংগ্রহ করিতে চাহি না। তবে প্রকৃত জ্ঞানশালী ও শক্তিমান ব্যক্তিবর্গের আবাসভূমি দেখাইয্যা দিতে পারে, এমন যদি কোন চুম্বক-প্রস্তর প্রাপ্ত হই, তাহা হইলে সর্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া তাহা ক্রয় করি এবং অদ্যই পথে বাহির হইয়া পড়ি।”

 প্রকৃত শক্তিশালী এবং গৌরবান্বিত প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি সর্ব্বত্রই পূজনীয়। তাঁহারা মানুষের আদর্শ। তাঁহারা প্রকৃতির