পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর।
২৮৯

 বিধবা-বিবাহের সমর্থনী পুস্তিকার প্রতিবাদসমূহ প্রকাশিত কইলে পর বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে বা ১২৬১ সালের কার্ত্তিক মাসে “বিধবা-বিবাহ, হওয়া উচিত কি না” নামক দ্বিতীয় পুস্তক প্রকাশ করেন। যে সকল পণ্ডিত বিধবা-বিবাহের বিরুদ্ধে মত দিয়াছিলেন, এ পুস্তকে তাঁহাদের অধিকাংশেরই মত খণ্ডনের প্রয়াস আছে। নিম্নলিখিত পণ্ডিতদের মত খণ্ডন এই পুস্তকের প্রতিপাদ্য,— আগড়পাড়ানিবাসী মহেশচন্দ্র চূড়ামণি; কোন্নগর-নিবাসী দীনবন্ধু ন্যায়রত্ন; কাশীপুরনিবাসী শশিজীবন তর্করত্ন, জানকীজীবন ন্যায়রত্ন; আরিয়াদহনিবাসী রাম তর্কালঙ্কার; পুটিয়া নিবাসী ঈশানচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ; সয়দাবাদনিবাসী গোবিন্দকান্ত বিদ্যাভূষণ, কৃষ্ণমোহন ন্যায়পঞ্চানন, রামগোপাল তর্কালঙ্কার, মাধবরাম ন্যায়রত্ন, রাধাকান্ত তর্কালঙ্কার; জনাইনিবাসী জগদীশ্বর বিদ্যারত্ন; আন্দুলীয় রাজসভার সভাপতি রামদাস তর্কাসিদ্ধান্ত; ভবানীপুরনিবাসী প্রসন্নকুমার মুখোপাধ্যায়, নন্দকুমার কবিরত্ন; আননচন্দ্র শিরোমণি, গঙ্গানারায়ণ ন্যায়বাচস্পতি, হারাধন কবিরাজ; ভাটপাড়ানিবাসী রামদয়াল তর্করত্ন; শ্রীরামপুরনিবাসী কালিদাস মৈত্র; মুরশিদাবাদনিবাসী রামধন বিদ্যাবাগীশ। এই সকল পণ্ডিতের মত খণ্ডন জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয় নানা শাস্ত্রের বচনোদ্ধার করিয়াছেন।

 এ পুস্তকের ভাষা গাম্ভীর্য্যপূর্ণ। ইহার গাম্ভীর্য্যানুসন্ধিৎসুতা আলোচনা করিলে কে সহজে বিশ্বাস করিবে, বিদ্যাসাগর নাম ভাঁড়াইয়া ব্রজবিলাস, রত্নপরীক্ষা[১] প্রভৃতি পুস্তকে বাল-

  1. ইহা একরূপ সর্ব্বজনবিদিত, তাঁহার উপযুক্ত ভাইপোরূপে “ব্রজবিলাস”