পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
৩০৫

অনুশাসনবিধি এই আইনবিরুদ্ধ হইলেও, এই আইন নামঞ্জুর হইবে না।

 (২) মৃত স্বামীর বিষয়-সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারসূত্রে কিম্বা খোরাকপোষাকসূত্রে যে কোন দাবী-দাওয়া, তাহা দ্বিতীয়বার বিবাহে রূদ হইয়া যাইবে এবং সেই কন্যা তাঁহার প্রথম স্বামীর পক্ষে মৃত বলিয়া পরিগৃহীতা হইবেন। তাঁহার মৃত স্বামীর অবর্ত্তমানে যে উত্তরাধিকারী সেই ঐ স্বামীর বিষয়ে অধিকারী হইবে; কিন্তু ইহাও নিয়ম করা যাইতেছে যে, স্বামী ভিন্ন উত্তরাধিকারসূত্রে কোন বিধবার কোন সম্পত্তিতে যে দাবী দাওয়া, কিম্বা স্ত্রী-ধন বলিয়া কোন বিষয় সম্পত্তির উপর দাবী-দাওয়া, কিবা স্বামীর জীবদ্দশায় কিম্বা তাহার মৃত্যুর পর স্বোপার্জ্জিত বলিয়া কোন বিষয় সম্পত্তিতে যে দাবী-দাওয়া থাকিবে, পুনর্বিবাহ করিলে তাহার সেই কাবী-দাওয়া অব্যাহত রহিবে।

 গ্রাণ্ট সাহেব আইনের যে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন, তাহার মর্ম্মানুবাদ এই,—

 “১৮৫৫ সালের ৪ঠা অক্টোবর তারিখে ব্যবস্থাপক সভায কলিকাতাস্থ এবং কলিকাতার নিকটস্থ সন্ত্রাস্তবংশীয় আন্দাজ সংস্র হিন্দু দ্বারা স্বাক্ষরিত এই আবেদন পেশ হয়। আবেদনের উদ্দেশ্য এই যে, এমন কোন আইন করা হউক, যাহাতে হিন্দু-বিধবার পুনর্বিবাহ আইনসঙ্গত যে বাধা, তাহা রদ হইবে এবং এরূপ নিয়ম হউক যে, ঐ বিবাহজাত সন্তান-সন্ততি বিধিসম্মত সন্তান-সন্ততি বলিয়া গৃহীত হইবে।

 আবেদনকারিগণ বলেন, বহুদিন প্রচলিত প্রথা-অনুসারে এরূপ