পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
৩০৭

যাঁহারা তাঁহদের বিরুদ্ধ-মতাবলম্বী, তাঁহারা বিধবার বৈধব্যপ্রথার পক্ষপাতী। প্রচলিত আইন কিন্তু কোন পক্ষই সমর্থন করে না।

 আবেদন পত্রে যে সমস্ত কথার আলোচনা হইয়াছে, তাহা যে সত্য, তাহার আর সংশয় নাই। যে সকল হিন্দু বিধবা-বিবাহের পক্ষপাতী, তাহারা এদেশে প্রচলিত মিউনিসিপাল আইনের জন্য তাঁহাদের ইচ্ছানুরূপ কর্ত্তব্য কার্য্য করিতে পারে না। যে হিন্দু বিধবা বিবাহ প্রচলনের বিশেষ উৎসাহী, এই মিউনিসিপাল আইনের দরুণ তাঁহারা পদে পদে বাধা পান।

 সাধারণতঃ দেখিতে গেলে, এই বিধবা-বিবাহ-নিবারক আইন দ্বারা সুনীতি স্থাপিত এবং লোকের কোন সুখ সাধিত হওয়া দূরে থাকুক, ইহা সুনীতিকে পদদলিত করিতেছে এবং লোকের ভয়ানক ক্লেশের হেতু হইয়াছে। একারণ মোটের উপর এই দেখা যাইতেছে যে, দেওয়ানী কার্য্যবিধির এই বিধিটা প্রচলিত থাকা আর কিছুতেই যুক্তিযুক্ত নয়।

 ইহাও বলা উচিত যে, অনেকের বিশ্বাস, যে প্রথা বিধধাবিবাহের বিরোধী, তাহা শাস্ত্রানুমোদিত এবং তাহা তাঁহাদের বিশেষ শ্রদ্ধেয়; সুতরাং তাঁহাদের মতে সুনীতিপরিচারক। এরূপ হইলেও যে মিউনিসিপাল আইন সমাজে দুর্নীতির অবতারণা করে ও বিশৃঙ্খল উপস্থিত করে, তাহার কোন সার্থকতা প্রতিপন্ন করা যাইতে পারে না। যখন দেখা যায় যে, এই আইন প্রচলিত থাকতে বিধবা-বিবাহ নিষিদ্ধ বলিয়া যাঁহারা বিশ্বাস না করেন, বরং ভাবেন, যে সব লোক উহাকে শাস্ত্র-বিরুদ্ধ বলিয়া মানে, যে সমস্ত লোক ভ্রান্ত ও শাস্ত্রের যথার্থ মর্ম্মগ্রহণে অসমর্থ,