পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
৩১১

সিদ্ধান্ত কেন, স্পষ্টই বলিয়াছিলেন—“হিন্দু-বৈধব্য বড়ই নিষ্ঠুর কাণ্ড; ইহা প্রকৃতির বিরুদ্ধ; এ নিষ্ঠুর কাণ্ড নিবারণের জন্য বিধবা-বিবাহের প্রয়োজন; পুনর্বিবাহে বিধবা যাহাতে আইনসম্মত অধিকার হইতে বঞ্চিত না হয়, তাহার জন্য় আইন করা প্রয়োজন; সেই প্রয়োজনবশতঃ এই আইন হইল; এ আইনের জন্য় যে সকল লোক আবেদন করিয়াছেন, তাঁহারা গণ্য, মান্য় ও বুদ্ধিমান।”[১]

 বিধান-বিধাতাদের কলমের আঁচড়ে ৫০ হাজার মান্যগণ্য হিন্দুর আবেদন উপেক্ষিত হইল। আত্ম-সম্ভ্রম রক্ষার জন্য দেশের ৫০|৬০ হাজার হিন্দুর কথা নগণ্য বলিয়া উপেক্ষিত হইল। সদস্য কল্ভি‌ন্‌ স্পষ্টতঃ বলিয়াছিলেন,—“এ আইনে ফল হইবে, আমার এই ধারণা যদি না হয়, তাহা হইলে ইংরেজ নামের জন্য এই আইন পাশ করা উচিত।”[২]

 ইহার উপর আর কথা কি?

 আইন যাহা হইয়াছিল, তাহার অনুবাদ এই—

উপক্রমণিকা।

 যেহেতু ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির অধিকৃত এবং শাসনাধীন দেশসমূহের দেওয়ানি আদালতের প্রচলিত আইন অনুসারে সাধারণতঃ হিন্দুবিধবাগণ একবার বিবাহলব্ধ করিয়াছে বলিয়া


  1. এই আইন সম্বন্ধে যে বাদানুবাদ হইয়াছিল, তাহার মর্ম্ম প্রকাশ করিতে গেলে একটি স্বতন্ত্র পুস্তক হয়। এইজন্য় পাঠকবর্গকে পণ্ডিত নারায়ণকেশব বৈদ্য় সঙ্কলিত “A collection containing the procedings which led to the passing! of Act XV. of 1856 পড়িতে অনুরোধ করি।
  2. A collection containning the Procedings which led to the passing of Act XV, of 1856.