পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
৩১৭

বাক্যের অভাব নাই, বদন ভাণ্ডারে।
যত আসে তত বলে, কে দূষিবে কারে?
সাহস কোথায় বল, প্রতিজ্ঞা কোথায়?
কিছুই না হতে পারে, মুখের কথায়॥
মিছা-মিছি অনুষ্ঠানে, মিছে কাল হরা।
মুখে বলা, বলা নয়, কাজে করা করা॥
সকলেই তুড়ি মারে, বুঝে নাকো কেউ।
সীমা ছেড়ে নাহি খ্যালে, সাগরের ঢেউ॥
সাগর যদ্য়পি করে সীমার লঙ্ঘন॥
তবে বুঝি হতে পারে, বিবাহ ঘটন॥
নচেৎ না দেখি কেন, সম্ভাবনা আর।
অকারণে হই হই, উপহাস সার॥
কেহ কিছু নাহি করে, আপনার ঘরে।
যাবে যাবে, যার শত্রু, যা পরে পরে॥
তখন এরূপ কবে, হলে ব্যতিক্রম।
“ফাটায় পড়েছে কলা, গোবিন্দায় নম॥”[১]
 কবিতাসংগ্রহ, দ্বিতীয়ভাগ।

 আইন পাশ হউক, বিধবা-বিবাহ হিন্দু-সমাজ-সম্মত নহে। আইন পাশ হইবার পর কয়েকটী মাত্র বিধবা-বিবাহ হইয়াছে। এরূপ বিবাহে লিপ্ত ব্যক্তির প্রতি হিন্দুর সহানুভূতি নাই। বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসঙ্গত বলিয়া হিন্দু সমাজে স্বীকৃত হয় নাই। Asiatic


  1. বিধবা বিবাহের আন্দোলনকালে বাঙ্গালা ভাষার কিরূপ অবস্থা ছিল,
    এই সব পদ্য তাহার কতক পরিচায়ক}}