পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর।
১১

বড়লোকমাত্র, বিদ্যাসাগরের প্রতিপাত্র ছিলেন; অতএব বিদেশীয় শক্তিশালী ব্যক্তিদিগের সহিত তাঁহার তুলনা অযৌক্তিক নহে। কোন না কোন বিদেশীয় শক্তিসম্পন্ন, ব্যক্তির কোন না কোন গুণ তাঁহাতে পরিলক্ষিত হইত।

 “বিদ্যাসাগর চরিত” নামে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বরচিত অসম্পূর্ণ জীবনী তদীয় পুত্র শ্রীযুক্ত নারায়ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক প্রকাশিত হয়। কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করিবার পূর্ববর্ত্তী ঘটনাগুলি লইয়া ইহা রচিত। নারায়ণ বাবু লিখিয়াছেন,–“যদি তাঁহার ছাত্রজীবনের ইতিহাস নিজে লিখিয়া যাইতে পারিতেন, তাহা হইলেও তাহার জীবন-চরিত সম্পূর্ণ করা সহজ হইত।” নিজের জীবনী নিজে লিখিলে জীবনবিবরণ যে সম্পূর্ণ হয়, তাহাতে আর সন্দেহ কি? এতদ্ব্যতীত জীবনীর বিষয়ীভূত ব্যক্তির ভাষা, মনোবৃত্তি, ধর্ম্মপ্রবৃত্তি, রীতি, নীতিপ্রভৃতির অনেক আভাস পাইবার সুবিধা ও সুযোগ হয়। জনসনের জীবনী লিখিতে বসিয়া জীবনীলেখক বসওয়েল বলিয়াছেন,—

 “Had Dr. Johnson written his own life in conformity with the opinion which he has given, that every man's life may be best written by himself; had he employed in the preservation of his own history, that clearness of narration and elegance of language in which he has embalmed so many eminent persons, the world would probably have had the most perfect example of biography that was ever exhibited.”