পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
বিদ্যাসাগর।

ডাক্তার জনসন বলিতেন,—“নিজের জীবন-বৃত্তাস্তু,মানুষ নিজে উত্তম লিখিতে পারেন।” তিনি যে বিশদ বর্ণনায় এবং সুন্দর রচনায়, বহু সংখ্যক, কীর্ত্তিকুশল ব্যক্তির বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়। তাঁহাদিগকে সঞ্জীবিত করিয়াছেন, তাহাতে তিনি যদি স্বয়ং নিজের ইতিহাস লিখিতেন, তাহা হইলে জগৎ তাহার নিকটে সর্ব্বব্যবসম্পন্ন জীবনীর উত্তম দৃষ্টান্ত লাভ করিতে পারিত।

 কথাটা ঠিক বটে; কিন্তু আত্মকথার স্বক্ষ সমালোচনা হওয়া দুষ্কর। সে ভার বাহিরের লোককে লইতে হয়। আত্মদোষের উদঘাটনে সাহস কয় জনের হইয়া থাকে? রুসোর “কনফেশন্‌” অর্থাৎ ক্রটী-স্বীকার, দুরন্ত দুঃসাহসিকতার কাজ ভলটয়ার ঠিকই বলিয়াছেন,—

 “There is no man, who has not something hateful in him—no man who has not some of the wild beast in him. But there are few who will honestly tell” us how they manage their wild beast.”

 জগতে এমন কোন মানুষ নাই, যাহাব কিছু দোষ নাই, এমন মানুষ নাই, যাঁহাতে ঘৃণার্হ কিছুই একেবারেই নাই বা যাঁহার পাশবসবৃত্তি নাই; কিন্তু সেই প্রবল পাশববৃত্তি জীবনে কেমন করিয়া আয়ত্ত করিয়া রাখিয়াছে, কয়জন লোকে তাহা অকপটে বলিতে পারে?

 মানুষের এমন দোষ ও ত্রুটী থাকিতে পারে যে, তাহা বন্ধুর নিকট প্রকাশ করিতে দ্বিধা হয়। বিখ্যাত ফরাসী গ্রন্থকার শ্যামফোঁ বলিয়াছেন, —