পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৩৮
বিদ্যাসাগর।

চাহেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার প্রতিবাদ করেন। ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দের ৩রা জুন বিদ্যাসাগর মহাশয় অতি সতেজ পত্র লিথিয় ইয়ঙ, সাহেবের প্রস্তাবের প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। তিনি স্পষ্টই লিথিয়াছেন,—“সংস্কৃত কলেজের বেতন বাড়াইলে কলেজ থাকিবে না। ভারতের শিক্ষা-সম্বন্ধে ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দের বিলাত হইতে যে কাগজপত্র আসে, তাহাতে সংস্কৃত কলেজের বেতন-বৃদ্ধিসম্বন্ধে কোন উল্লেখ নাই। আমি সেই উপদেশ-পত্রের অনুসারে কাজ করিব। ইয়ঙ সাহেব কলেজের বেতন পাঁচ টাকা করিতে চাহিয়াছিলেন। ইহার পর ইয়ঙ, সাহেবের সহিত মতান্তর ঘোরতর হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তেজস্বিতার সহিত ইয়ঙ্ সাহেবকে পত্র লিখিতেন। বাগ্মিবর রামগোপাল ঘোষ, পত্র-লেখা-সম্বন্ধে অনেকটা সাহায্য করিতেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে প্রায়ই বিদ্রূপ করতেন, “সিবিলিয়ান্‌ সাহেবকে জোর করিয়া পত্র লেখা চালকলা-খেগে বামুনের কর্ম্ম নয়।”

 বিদ্যাসাগর মহাশয় ইয়ঙ সাহেবের নামে ছোটলাট বাহাদুরের নিকট অনেক বারই অভিযোগ করিয়াছিলেন। ছোট লাট বাহাদুর, ডিরেক্টর মহাশয়ের সহিত সম্প্রীতি রাখিয়া তাঁহাকে কাজ করিতে পরামর্শ দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তৎপক্ষে চেষ্টাও করিয়াছিলেন; কিন্তু চেষ্টা ফলবতী হয় নাই। ইয়ঙ্ সাহেবের সহিত সম্প্রীতি হইল না, অথচ ছোট লাট বাহাদুরও কোন সদুপায় করিলেন না, অগত্যা রাগে—দুঃখে বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রিন্সিপাল ও ইন্‌স্পেক্টর পদ পরিত্যাগ করেন।

 তেজস্বী বিদ্যাসাগর, এক কথায় সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল