পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪৬
বিদ্যাসাগর।

পড়াশুনা হইবে না ভাবিয়া, তাঁহার ওকালতী করিতে প্রবৃত্তি হয় নাই।”

 আধুনিক আদালতের অনেক উকীলকেই ষে টাকার জন্য হুড়াহুড়ি মারামারি করিতে হয়, তাহাতে সন্দেহ নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায় এক জন শান্তিপ্রিয় ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি যে সেটাকে ঘৃণা করিবেন, তাহা বলা বাহুল্য; কিন্তু দ্বারকানাথ মিত্রের ন্যায় প্রতিষ্ঠাবান্ উকীল কি টাকার জন্য মোক্তারদের সঙ্গে ঐরূপ হুড়াহুড়ি করিতেন? এ কথাটা মনে স্থান দিতে কোন মতে সহজে প্রবৃত্তি হয় না। শশিভূষণ বাবু যাহা বলিয়াছেন, তাহা এক্ষণে সম্ভবপর ৰলিয়া মনে হয়।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়, অসীম সাহসে সংসার-সাগরে ঝাঁপ দিলেন। তাঁহার পুস্তকের কতকটা আয় ছিল বটে; কিন্তু ঋণও বিস্তুর ছিল। দানের তো ক্রটি হয় নাই। ঋণেও বিদ্যাসাগরের অদ্ভূত তেজস্বিতার পরিচয়।

 সংস্কৃত কলেজের গ্রিন্সিপাল-পদ পরিত্যাগ কুরিবার অব্যবহিত পরে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পিতামহীর ৺গঙ্গালাভ হয়। পিতামহীকে পীড়িতাবস্থায় বীরসিংহ গ্রাম হইতে আনয়ন করা হইয়াছিল। এখানে ভাগীরথী-তীরে শালিখা ঘাটে ২০ বিশ দিন গঙ্গাজল মাত্র পান করিয়া তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁহার শ্রাদ্ধোপলক্ষে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বহু অর্থ ব্যয়িত হইয়াছিল।

 এতৎসম্বন্ধে বিদ্যারত্ন লিথিয়াছেন,—

 “তাঁহার শ্রাদ্ধাদি কার্য্যে বিধবা-বিবাহের প্রতিবাদিগণ অনেক শক্রতা করিয়াও, কৃতকার্য্য হইতে পারেন নাই। শ্রাদ্ধোপলক্ষে