পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দান দাক্ষিণ্য।
৩৫৯

চেষ্টা করেন। অবশেষে রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহের আত্মীয় বাবু কালিদাস ঘোষ মহাশয়ের নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা ও অন্য এক ব্যক্তির নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা সংগ্রহ করিয়া টাকা দিলেন।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় এই টাকা দিয়া কোন প্রকারে চৌধুরীদের ঋণোদ্ধার করিয়া দেন। ঋণোদ্ধার হইল বটে; কিন্তু এ বিষয় রহিল না। বিদ্যারত্ন মহাশয় সে সম্বন্ধে লিখিয়াছেন,—

 অতঃপর কয়েক বৎসর চৌধুরী বাবু পরম সুখে কালাতিপাত করেন। দুঃখের বিষয় এই, ভাতৃবিরোধে ও বন্দোবস্ত না হওয়াতে দুই এক মহাজন পরিবর্ত্তের পর ঐ সম্পত্তি ক্রোকে নীলামে বিক্রয় হয়। তন্নিবন্ধন উহাদের কষ্ট উপস্থিত হইল। মৃত শিবনারায়ণ চৌধুরীর পত্নী ও সদানন্দ চৌধুরীর পত্নীকে মাসিক ব্যয়-নির্ব্বাহার্থে অগ্রজ মহাশয়, প্রতি মাসে প্রত্যেককে সমান ভাবে ৩০্ টাকা মাসহারা প্রেরণ করিতেন। কিছুদিন পরে মোনপুরের কাশীনাথ ঘোষ ৮০০ শত টাকার জন্য উক্ত চৌধুরীদের নামে অভিযোগ করিয়া নালিশ করিলে, আমি উক্ত মহাশয়দের অনুরোধে কাশীনাথ ঘোষের সহিত ১৫০ টাকার রফা করি। দাদার নিকট ঐ টাকা লইয়া উক্ত বিষয় খোলসা করিয়া দিয়াছিলাম।”

 কলেজের চাকুরীর সময় কর্ত্তব্য কর্ম্ম ভাবিয়া শিক্ষার উন্নতিকল্পে বিদ্যাসাগর মহাশয় বড়ই যত্ন করিতেন। চাকুরি পদত্যাগ করিয়াও তৎপক্ষে এক মুহূর্ত্তের জন্যও তিনি ঔদাসীন্য প্রকাশ করেন নাই। বরং সে সম্বন্ধে স্বাধীন ভাবে কার্য্য করিবার প্রশস্ততর পথ প্রাপ্ত হইয়া, দ্বিগুণতর উৎসাহে ও উদ্যমে তিনি