পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬৬
বিদ্যাসাগর।

“নব-জীবনে”[১] “বাঙ্গালা সংবাদপত্রের ইতিহাস” নামক একটি ঘটনাপূর্ণ প্রবন্ধ লিখিয়া তাহাদের অধিকাংশের উল্লেখ করিয়াছেন। আমরা তাহা হইতে সংক্ষেপে এখানে তাহার উল্লেখ করিলাম।

 অনেকের ধারণা,—মিসনরীরা প্রথমে বাঙ্গালা সংবাদপত্র প্রকাশ করেন; কিন্তু প্রকৃত কথা তাহা নহে। ১২১২ সালে বা ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে গঙ্গাধর ভট্টাচার্য্য নামক একজন পণ্ডিত কলিকাতা সহরে সর্ব্বপ্রথম “বাঙ্গালা-গেজেট” নামে সংবাদপত্র প্রচার করেন। ১২২৪ সালে শ্রীরামপুরের পাদরী সাহেবেরা “সমাচার দর্পণ”-নামক সংবাদপত্র প্রচার করেন। ১২২৭ সালে রাজা রামমোহন রায়, তারাচাঁদ দত্ত এবং ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক “সংবাদকৌমুদী” নামক সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। রাজা রামমোহন রায় এই সংবাদপত্রে প্রচলিত সতীদাহের বিরুদ্ধে প্রবন্ধ লিখিতে আরম্ভ করেন। ইহাতে ভবানীচরণ বাবু উহার সম্পাদকতা ত্যাগ করেন। ১২২৮ সালে ঐ ভবানীচরণ “সমাচার চন্দ্রিকা” নামে সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। ইহা শেষে প্রাত্যহিক হয়। তৎপরে ইহা “বঙ্গবাসীর” কার্য্যালয় হইতে প্রকাশিত “দৈনিক” নামক প্রাত্যহিক পত্রের সহিত সম্মিলিত হইয়াছিল। “চন্দ্রিকা” প্রকাশিত হইবার পর মৃজাপুরনিবাসী কৃষ্ণমোহন দাস “সংবাদ-তিমির” নামক সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশিত করেন। কয়েক বর্ষ পরে এ-খানি উঠিয়া যায়। “তিমিরনাশক” প্রকাশ হইবার পর রাজা রামমোহন রায়, বাবু দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং প্রসন্ন কুমার ঠাকুরের উদ্যোগে “বঙ্গ-দূত” নামক সংবাদপত্রের সৃষ্টি হয়।[২] ১২৩৭ সালের ১৬ই


  1. শ্রীযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার সম্পাদিত মাসিক পত্র। এখন নাই।
  2. তৎপরে “বঙ্গ-দূত“ও “সংবাদ সুধাকর” এই দুই পত্র প্রচারিত হয়।