পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চতুর্ব্বিংশ অধ্যায়।

পুনরায় কার্য্য-প্রার্থনা, ওয়ার্ডস্ ইনষ্টিটিউশন ও

শাস্ত্রীয় ব্যবস্থা।

 ১২৬৯ সালে বা ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে ব্যাকরণ-কৌমুদীর চতুর্থ ভাগ মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় সরকারী কার্য্য পরিত্যাগ করিয়াছিলেন বটে; কিন্তু রাজ-পুরুষগণ তাঁহাকে পরিত্যাগ করেন নাই। সরকারী বৈতনিক কার্য্যে তিনি তৎপরে আর আত্মনিয়োগ করেন নাই। তবে বিধবা-বিবাহ প্রচলন করিতে গিয়া নানা প্রকার ঋণ-জালে জড়িত হয়ে তিনি আর একবার সরকারী কর্ম্মের প্রার্থী হইয়াছিলেন। তাঁহার এ কার্য্য-প্রার্থনা ইহসংসার একান্ত বিস্ময়াবহ ব্যাপার নহে। অবস্থার আবর্ত্তনে বিবর্ত্তনে ইহা অসম্ভবপরও নহে। রাজপুতনার বীর প্রতাপসিংহ পরিবার সঙ্গে পর্ব্বতে পর্ব্বতে পরিভ্রমণ করিয়া বেড়াইয়াছিলেন, তবুও মুসলমান সম্রাটের হস্তে তিনি আত্মবিসর্জ্জন করেন নাই; কিন্তু যে দিন তিনি দেখিলেন, তাঁহার প্রাণ-প্রিয়তম শিশুগণ ঘাসের রুটি খাইতেছে, সে রুটিতে সকলের সঙ্কুলান হইতেছে না, সেই দিন সেই দৃশ্য তাঁহার অসহ্য হইয়াছিল। আর সহিতে না পারিয়া তিনি সম্রাট আকবরকে আত্মবিসর্জ্জন-কল্পে পত্র লিখিয়াছিলেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তিনি আত্মবিসর্জ্জন করেন নাই। প্রতাপসিংহের ন্যায় তেজস্বী স্বদেশভক্ত আর