পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
বিদ্যাসাগর।

হইল। * * * কতিপয় দিবস অতি সমাদরে অতিবাহিত হইল। দুর্গাদেবীর পিতা, তর্কসিদ্ধান্ত মহাশয়, অতিশয় বৃদ্ধ কইরাছিলেন; “এজন্য সংসারের কর্তৃত্ব তদীয় পুত্র রামসুন্দল বিদ্যাভূষণের হস্তে ছিল।

  • * * *

 “কিছু দিনের মধ্যেই, পুত্রকন্যা লইয়া, পিত্রালয়ে কালযাপন করা দুর্গা দেবীর পক্ষে বিলক্ষণ অসুখের কারণ হইয়া উঠিল। তিনি ত্বরায় বুঝিতে পারিলেন, তাহার ভ্রাতা ও ভ্রাতৃভার্য্যা তাহার উপর অতিশয় বিরূপ। * * অবশেষে দুর্গ দেবীকে পুত্রকন্যা লইয়া, পিত্রালয় হইতে বহির্গত হইতে হইল। তর্কসিদ্ধান্ত মহাশয় সাতিশয় ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত হইলেন এবং স্বীয় বাটীর অনতিদুরে এক কুটীর নির্মিত করিয়া দিলেন। দুর্গা দেবী পুত্রকন্যা লইয়া, সেই কুটীরে অবস্থিত ও অতি কষ্টে দিনপাত করিত্বে লাগিলেন।

 “ঐ সময়ে, টেকুয়া ও চরকায় সুতা কাটিয়া, সেই সুতা বেচিয়া অনেক নিঃসংশয় নিরুপায় স্ত্রীলোক আপনাদের দিন গুজরান করিতেন। দুর্গা দেবী সেই বৃত্তি অবলম্বন করিলেন। • • তাদৃশ স্বল্প আয় দ্বারা নিজের, দুই পুত্রের ও চারি কন্যার ভরণপোষণ সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নহে। তাহার পিতা সময়ে সময়ে, যথাসম্ভব সাহায্য করিতেন; তথাপি তঁহাদের আহারাদি সর্ব্ববিষয়ে ক্লেশের পরিসীমা ছিল না। এই সময়ে জ্যেষ্ঠ পুত্র ঠাকুরদাসেব বয়ঃক্রম ১৪।১৫ বৎসর। তিনি মাতৃদেবীর অনুমতি লইয়া, উপার্জনের চেষ্টায় কলিকাতা প্রস্থান করিলেন।

 “সভারাম বাচস্পতি নামে আমাদের এক সন্নিহিত জ্ঞাতি কলিকতায় বাস করিয়াছিলেন। তাঁহার পুত্র জগন্মোহন