পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০২
বিদ্যাসাগর

ব্রিটিস ইণ্ডিয়ান সভা এই বিষয়ে আইন পরিবর্ত্তনের জন্য চেষ্টা করিয়াছিল।

ঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা,

২৯শে আগষ্ট, ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দ।

 ওয়ার্ডস্ ইনষ্টিটিউশন রেভিনিউ বোর্ডের অধীন ছিল। রিপোর্টাদি বোর্ডের কর্ত্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইতে হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয় মার্চ্চ, জুলাই ও নবেম্বর মাসে ওয়ার্ড পরিদর্শন করিতেন। বোর্ডের কার্য্যালোচনায় তাঁহার অন্তরিকতা অবিসংবাদিনী। তাঁহার প্রদত্ত রিপোর্ট ও স্মারকলিপি ইহার দুই অকাট্য প্রমাণ। আন্তরিকতা মনুষ্যত্বের মূল মর্ম্ম। বিদ্যাসাগর মহাশয়েব সকল কার্য্যেই আন্তরিকতার পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যায়।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় যে সব পরিবর্ত্তনের প্রস্তাব করিয়াছিলেন, তাহার অধিকাংশ গ্রাহ্য হইয়া ছিল। তবে একটা বিশিষ্ট পরিবর্ত্তন প্রস্তাব গ্রাহ্য হয় নাই। ইনষ্টটিউশনের ছাত্রগণকে বেত্রাঘাত করা হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয় বেত্রদণ্ড উঠাইবার চেষ্টা করেন। ইনষ্টিটিউশনের সেক্রেটরি রাজেন্দ্রলাল মিত্র মহাশয় ইহার প্রতিবাদ করেন। তৎসম্বন্ধে কি করা কর্তব্য, তন্নির্দ্ধারণার্থ একটী কমিটীও হইয়াছিল। কমিটীতে রাজেন্দ্রলালের প্রস্তাব গ্রাহ্য হয় নাই।

 ইহার পর নানা কারণে রাজেন্দ্রলাল বাবুর সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতান্তর হয়। অনেকেই বলেন, এই মতান্তর হেতু বিদ্যাসাগর মহাশয়, ইনষ্টিটিউশনের কার্য্য পরিত্যাগ করেন।

 প্রকৃত পক্ষে কি কারণে তিনি ওয়ার্ডের কার্য্য পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। আমি অনেক