পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুর্ভিক্ষ।
৪১৯

অস্থির হইয়া একমুষ্টি অন্নের জন্য সহরে দলে দলে ছুটিয়াছিল, তাহার সবিস্তর বিবৃতির স্থান তো হইবে না। তবে এ দুর্ভিক্ষ সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যতটুকু সম্পর্ক, তাহার একটা সংক্ষিপ্ত উল্লেখ হইবে মাত্র। জাহানাবাদ জেলা অঞ্চলের দুর্ভিক্ষ-বার্ত্তা প্রথম হিন্দু-পেট্রিয়টে একজন লিখিয়া পাঠান। দুর্ভিক্ষদমনে তত্রত্য জমীদারমণ্ডলী প্রথম উদাসীন ছিলেন। তৎকালিক ডেপুটি মাজিষ্টের বাবু ঈশ্বরচন্দ্র মিত্র প্রথম প্রথম এ বিষয়ে তত মনোযোগী হন নাই। হিন্দু-পেট্রিয়টে লিখিত হয়, গড়বেতার ডিপুটী মাজিষ্টর শ্রীযুক্ত হেমচন্দ্র কর মহাশয় বহু শ্রম স্বীকার করিয়া দেশের অবস্থা পরিদর্শন করেন এবং দেশের লোককে সাহায্য করিবার জন্য গবর্ণমেণ্টের নিকট অনুরোধ করিয়া পাঠান। জাড়ার জমীদার শিবনারায়ণ রায় মহাশয় অনেককে অন্ন দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। প্রথমতঃ বিদ্যাসাগর মহাশয় দারুণ দুর্ভিক্ষের সংবাদ পান নাই। হিন্দু-পেট্রিয়টের একজন সংবাদদাতা কাতর-কণ্ঠে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আবেদন করেন এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়ও গ্রাম হইতে সংবাদ প্রাপ্ত হন। স্বভাবদাতা বিদ্যাসাগর কি আর স্থির থাকতে পারেন? তিনি তখনই গ্রামে অন্নসত্র স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। ইতিপূর্ব্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী অনেককেই অল্প দিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। দয়াময়ের দয়াময়ী জননী অকাতরে, অকুণ্ঠিত চিত্তে, বহু লোককে অন্নদান করিতেছিলেন। হিন্দু পেট্রিয়টের সংবাদদাতা ১২৭৩ সালের ১৫ই শ্রাবণ বা ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দের ৩০শে জুলাই তারিখে এই মর্ম্মে লিখিয়াছিলেন,—