পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৩০
বিদ্যাসাগর।

প্রয়োগ করেন যে, তাহা হইতে যৎসামান্য অংশমাত্র অবশিষ্ট থাকে। তাহাও মন্দির-সংস্কার, গবর্নমেণ্ট দেয় রাজস্ব প্রদান (অর্থাৎ যে বৎসর অনাবৃষ্টি ও বন্যা প্রভৃতি কারণবশতঃ প্রজাদিগের নিকট হইতে কর অনাদায় থাকে) প্রভৃতি অতিরিক্ত ব্যয়নির্ব্বাহার্থ পর্যাপ্ত হয় না। ট্রষ্টিরা যে ঈদৃশ অবস্থায় নিজের তহবিল বা সংগৃহীত চাঁদা হইতে উক্ত ব্যয় নির্ব্বাহ করিবেন, তাহা কোন মতেই আশা করা যাইতে পারে না। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আইনের বিধি নিতান্তই আবশ্যক এবং এই কারণবশতঃ ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের ৮ আইনের পাণ্ডুলিপির ১ ধারা অনুসারে যদি এরূপ কোন বিধি স্পষ্টতঃ নির্দিষ্ট হয় যে, দেবোত্তর সম্পত্তির কোন প্রকার বন্দোবস্তলব্ধ আয় উক্ত সম্পত্তিসংক্রান্ত অতিরিক্ত ব্যয়নির্ব্বাহ ভিন্ন অন্য বিষয়ে প্রযুক্ত হইতে পারিবে না, তাহাতে আমার কিছুমাত্র আপত্তি নাই। এরূপ উদ্দেশে দেবোত্তর সম্পত্তির কোন প্রকার হস্তান্তর আমার সামান্য বিবেচনায় হিন্দুব্যবহার শাস্ত্রের বিরোধী নহে। সকল প্রকার দেবোত্তর সম্পত্তির সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য এই যে, উহার কোন প্রকার “তছরূপ” যাহাতে না ঘটে। উপরোক্ত অতিরিক্ত ব্যয় দেবোত্তর সম্পত্তির রক্ষার জন্যই প্রয়োজন হয়; সুতরাংঈদৃশ অবস্থায় কোন ক্রমেই ইহা “তছরূপ” শব্দে অভিহিত হইতে পারে না। অধিকন্তু দেবতা যদি বাক্য উচ্চারণ করিতে সমর্থ হইতেন, তাহা হইলে তিনি আপন সম্মতি প্রদান করিতে কখনই পরাঙ্মুখ হইতেন না; বরং এরূপ সঙ্কটে সম্পত্তির হস্তান্তরকরণের পক্ষে তিনি বিশেষ যত্নবান্ হইতেন।

 ৩। যে অবস্থায় দেবোত্তর সম্পত্তির হস্তান্তর সম্যক্