পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবোত্তর সম্পত্তি।
৪৩১

উচিত বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা উপরে বিশেষভাবে উল্লিখিত হইল। কিন্তু উপরোক্ত পাণ্ডুলিপির ২ ধারাতে ট্রষ্টিদিগকে যে ক্ষমতা প্রদান করা হইয়াছে, তাহা আমার বিবেচনায় নিতান্ত যুক্তিবিরুদ্ধ। তাহাতে এরূপ নির্দ্দিষ্ট হইয়াছে যে, দেবোত্তর সম্পত্তির বিক্রয় বা বন্ধকদানের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তাহার অনুসন্ধানের কোন আবশ্যকতা নাই। কিম্বা বিক্রয় ও বন্ধক দ্বারা প্রয়োজনাতিরিক্ত অর্থ সংগৃহীত হইতেছে কি না, তাহাও দেখিবার প্রয়োজন নাই। ট্রষ্টিদিগের এরূপ অসংযত ক্ষমতা এবং ক্রেতা ও বন্ধকগৃহীতাদিগের সম্বন্ধে সকল প্রকার দায়িত্ব হইতে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকিলে দেবোত্তর সম্পত্তির বহুবিধ “তছরুপ” নিতান্ত সম্ভবপর হইবে। তাহার বিরুদ্ধে প্রতীকার নিতান্তই আবশ্যক। আমার অনুমান হয়, অপরাপর সম্পত্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত ঈদৃশ আইনাদি প্রচলিত আছে যে, উক্ত সম্পত্তির ক্রেতা বা বন্ধকগৃহীতাদিগকে সম্পত্তির হস্তান্তরে বাস্তবিক প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত অনেক অনুসন্ধান করিতে হয়। অপরআপর ট্রষ্টি সম্পত্তির বিক্রয় বা হস্তান্তর আইনসিদ্ধ কি না, ইহা বিচার করিতে হইলে দেখিতে হয় যে, উক্ত প্রকার হস্তান্তর দ্বারা সম্পত্তির কোন মঙ্গল সাধিত হইয়াছে বা কোন প্রকার আকস্মিক বিপদ হইতে রক্ষা করা হইয়াছে। কিন্তু দেবোত্তর সম্পত্তির বিক্রয় বা হস্তান্তর সম্বন্ধে এরূপ কোন নিয়মাদি পাণ্ডুলিপিতে সন্নিবিষ্ট হয় নাই, কেন বুঝিতে পারিলাম না। আমি তজ্জন্য প্রস্তাব করিতেছি, ২য় ধারা এরূপ ভাবে লিখিত হয় যে, ভবিষ্যতে সম্পত্তির কোন প্রকার ক্ষয় বা “তছরূপ” একেবারে অসম্ভব হয়।