পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৯০
বিদ্যাসাগর।

 এ সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয়ে একটু কলঙ্ক-আরোপ করিয়াছেন, একমাত্র ৺মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জামাতা বাবু যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ। সে কলঙ্ক-প্রক্ষালনার্থ বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং “নিষ্কৃতি লাভ প্রয়াস” নামক একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাহারও প্রতিবাদ হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও তৎ প্রতিবাদার্থ প্রয়াসী হইয়া, আপন মত-সমর্থনার্থ, আর একখানি পুস্তিকা লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি তাহা সম্পূর্ণ করিয়া যাইতে পারেন নাই। বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের স্থূল কথা, বিদ্যাসাগর মহাশয়, মদনমোহন তর্কালঙ্কারের শিশুশিক্ষা আত্মসাৎ করিয়াছেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কথা, আত্মসাৎ নহে; ছাপাখানা সংক্রান্ত বিবাদ-মীমাংসায় তাহা তাঁহারই বিষয়ীভূত হইয়াছিল। বাদ-প্রতিবাদ সংগ্রহ করিয়া একটা মীমাংসাস্থলে উপস্থিত হইতে হইলে, একখানি প্রকাণ্ড পুস্তক লিখিবার প্রয়োজন হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চরিত্রসমালোচনায় এ কলঙ্ক তাঁহাতে যে অসম্ভব, এ ধারণা অবশ্য সর্ব্বসাধারণেরই হইবে। আমাদেরও ধারণা তাই। রাজকৃষ্ণ বাবুর মুখে বিবরণ শুনিয়া আমাদের ঐ ধারণা দৃঢ়তর হইয়াছে। অন্যরূপ যদি কাহারও হয়, আমরা তাঁহাকে বাদপ্রতিবাদের পুস্তক মনোনিবেশ সহকারে পড়িতে এবং তাহার পর্য্যালোচনা করিতে অনুরোধ করি।

 মহারাজ সতীশচন্দ্রের দুই মহিষী ছিলেন। মহারাজ উইল করিয়াছিলেন, “রাজ্ঞীরা যদি পুত্রবতী না হন,তাহা হইলে আমার অবর্ত্তমানে কনিষ্ঠা রাণী দত্তক গ্রহণ করিবেন। যদি তিনি দত্তক না লন,তবে জ্যেষ্ঠা রাজ্ঞী লইবেন।” মহারাজের জীবিতাবস্থায় জ্যেষ্ঠা