পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
left
রাজনারায়ণ বসু।
৪৯৫

যাহা করিতেছি, তাহার জন্য যদি দণ্ডভোগ করিতে হয়, তাহা আমিই করিব। যাহাদিগকে ধর্ম্মে জপাব, তাহাদিগকে যখন জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমরা কাহার মতে ধর্ম্মপালন করিয়াছ, তখন তাহারা যদি আমার দিকে অঙ্গুলি নির্দ্দেশ করে, এবং তাহারা যদি দণ্ড পাইবার পাত্র হয়, তাহা হইলে তাহাদের দণ্ডটা আমার উপর পড়িবে নিশ্চিতই। আমার অপরাধের জন্য আমি বেত খাইতে পারি, কিন্তু অপরের জন্য কত বেত খাইব?”[১]

 রাজনারায়ণ বাবু অনেক বিষয়েই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শ লইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও বিবেচনাপূর্ধ্বক অতি সাবধানে পরামর্শ দিতেন। নিয়লিখিত পত্রখানি ইহার একটা প্রমাণ,—

“সাদরসম্ভাষণমাবেদনম্—

 “কয়েক দিবস হইল, মহাশয়ের পত্র পাইয়াছি; কিন্তু নানা কারণে সাতিশয় ব্যস্ততা-প্রযুক্ত এত দিন উত্তর লিখিতে পারি নাই, ক্রটী গ্রহণ করিবেন না।

 “আপনার কন্যার বিবাহ বিষয়ে অনেক বিবেচনা করিয়াছি; কিন্তু আপনাকে কি পরামর্শ দিব, কিছুই স্থির করিতে পারি নাই। ফল কথা এই যে, এরূপ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া কোনক্রমেই সহজ ব্যাপার নহে। প্রথমতঃ আপনি ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী। ব্রাহ্মধর্ম্মে আপনার যেরূপ শ্রদ্ধা আছে, তাহাতে দেবেন্দ্র বাবু যে প্রণালীতে কন্যার বিবাহ দিয়াছেন, যদি তাহা ব্রাহ্মধর্মের অনুযায়ী বলিয়া আপনার বোধ থাকে, তাহা হইলে ঐ প্রণালী অনুসারেই আপ-


  1. এই কথাটী সাহিত্য-গুরু শ্রীযুক্ত ক্ষেত্রমোহন সেন গুপ্ত মহাশয়ের মুখে শুনিয়াছি