পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহু-বিবাহ।
৫০১

মাসে “বহু-বিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না?” বিচারের দ্বিতীয় পুস্তক প্রকাশিত হয়।

 বহু-বিবাহের আন্দোলনকালে উপযুক্ত ভাইপোর পুনরাবির্ভাব হইয়াছিল। উপযুক্ত ভাইপো এইবার তারানাথ বাচস্পতি মহাশয়কে লইয়া পড়িয়াছিলেন। তারানাথের উপর ভাইপোর তীব্র আক্রমণ। ভাষা-ভঙ্গী ভীষণ ভ্রুকুটীময়ী। তাহা সভ্য সাহিত্যের সম্মানাস্পদ নহে। একটু নমুনা দিই,—

“এত কাল পরে সব ভেঙ্গে গেল ভুর।
হতদর্প হইল বাচস্পতি বাহাদুর।
সকলের বড় আমি মম সম নাই।
কিসে এই দর্প কর ভেবে নাহি পাই।
  *  *  *  * *
তুমি গো পণ্ডিত-মূর্খ বুদ্ধিশুদ্ধিহীন।
অতি অপদার্থ তুমি অতি অর্ব্বাচীন॥”

 ভাইপোর এ পুস্তকের নাম “অতি অল্পই হইল।” পুস্তকের প্রারম্ভে উপরোক্ত ছড়া। পরে অরিও গালিগালাজ গদ্যে। তদুদ্ধার নিষ্প্রয়োজন। অনেকেই বলেন, এ ভাইপো স্বয়ং বিদ্যাসাগর মহাশয়ই। আমরা কিন্তু ইহার তাদৃশ প্রমাণ পাই নাই। এ ভাষার ভাব-ভঙ্গী বিদ্যাসাগরের চরিত্রোচিত নহে। পওি তারানাথ বাচস্পতি মহাশয়ও ইহার উত্তরচ্ছলে একখানি ২০ পৃষ্ঠার পুস্তিকা লিখিয়াছিলেন। ইহা ভাইপোর মতন তীব্র নহে। তবে ভাইপোর উপর কটাক্ষ আছে। “ভাইপোস্য” শব্দ অশুদ্ধ ধরিয়া বাচস্পতি মহাশয় ভাইপোকে মৃত্তিকা-প্রোথিত করিয়াছেন। “কস্যচিৎ