পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুহিতা-দৌহিত্র।
৫১৭

বহিয়াছিল। তিনি স্বয়ং রোগীর ঔষধ ও পণ্যের ব্যবস্থা করিয়া দেন। বহু চেষ্টায় কিন্তু রোগী জীবন লাভ করিতে পারে নাই। জ্যেষ্ঠ সুরেশচন্দ্রের রচনা-শক্তি তাঁহার বড় প্রীতিপ্রদায়িনী হইয়াছিল। তাঁহারা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্রবৎ স্নেহের ভাজন হইয়াছিলেন; কিন্তু লৌকিক ব্যবহারে মাতামহের রহস্য ভাষেও বঞ্চিত হইতেন না। বিদ্যাসাগর যে ষড় রসের পূর্ণাধার। তিনি আপন দুইটী দৌহিত্রের ভার তো লইয়াছিলেন; অধিকন্তু জামাতার মাতা, ভ্রাতা ও ভগিনী, তাঁহার প্রতিপাল্য হইয়াছিলেন। তিনি তাঁহাদের স্বচ্ছ বাসা করিয়া দিয়াছিলেন এবং সমগ্র ভরণপোষণেরও ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন।

 দারুণ শোক-তাপেও বিদ্যাসাগর মহাশয় স্কুল-কলেজের শুভানুধ্যানে এক মুহূর্ত্ত বিরত হইতেন না। স্কুল কলেজের কথা মনে হইলে, তিনি শোকতাপের সকল যন্ত্রণা বিস্মৃত হইতেন। শোকতাপে অভিভূত হইয়াও, তিনি ১৮৭৪ সালে কলিকাতা শ্যামপুকুরে মেট্রপলিটনের শাখা প্রতিষ্ঠিত করেন। মুল বিদ্যালয়ের ন্যায় অল্প দিনে ইহার শ্রীবৃদ্ধি ও প্রতিপত্তি হইয়াছিল।