আপনার ব্যক্তিগত আবেদন সম্বন্ধে আমার বক্তব্য এই যে, উক্ত মিউজিয়াম, এসিয়াটিক সোসাইটীর অট্টালিকার মধ্যে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত। সোসাইটীর পরিচায়কবর্গ মিউজিয়ামের ট্রষ্টিগণের আজ্ঞাধীন নহে। যে সমস্ত ভৃত্যের বিরুদ্ধে আপনি অভিযোগ আনয়ন করিয়াছেন, তাহারা মিউজিয়াম বা সোসাইটী সংক্রান্ত কি না, তাহা আপনার পত্রে প্রকাশিত নাই। যাহা হউক, আপনি যখন উল্লেখ করিতেছেন যে, সোসাইটীর পুস্তকাগারে যাইবার পথে অট্টালিকায় প্রবেশকালীন উক্ত ঘটনা ঘটিয়াছে, আপনার পত্রপানি উক্ত সোসাইটীর অধ্যক্ষসভার অবগতির জন্য প্রেরিত হইযাছে।
(স্বাঃ) হেন্রি এফ্ব্ল্যানফোর্ড,
অবৈতনিক সম্পাদক।পত্র লেখালেখি অনেক হইয়াছিল; কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কথা রক্ষা হয় নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় আর কখনও সোসাইটী বা মিউজিয়ামে যান নাই।
এতৎসম্বন্ধে তৎকালে হিন্দু-পেট্রিয়টে এইরূপ লেখা হইয়াছিল,—“বিদ্যাসাগর মহাশয় গৃহে আসিয়া মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধায়কদিগকে নরম ভাবে একখানি পত্র লিখিয়া জানিতে চাহিলেন, মিউজিয়ামের অধ্যক্ষগণ দেশী জুতা পায়ে দিয়া প্রবেশ করিতে নিষেধ-সূচক কোন আদেশ করিয়াছেন কি না; আর বুঝাইয়া বলা হইল যে, এরূপ নিষেধ থাকিলে মান্য গণ্য দেশীয় ভদ্র লোক অথবা যে সব ব্রাহ্মণপণ্ডিত দেশী চটি জুতা পায়ে দেন, তাঁহারা আর সোসাইটীতে যাইতে চাহিবেন