পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২৪
বিদ্যাসাগর।

না। সোসাইটীর কার্য্য-নির্ব্বাহক সভাকে এই মর্ম্মে স্বতন্ত্র পত্র লেখা হয়। মিউজিয়ামের অধ্যক্ষ প্রত্যুত্তরে বলেন যে, এরূপ হুকুম দেওয়া হয় নাই, বিদ্যাসাগর মহাশয় ফিরিয়া গিয়াছেন বলিয়া কিন্তু তাহার জন্য একটু দুঃখপ্রকাশ করা হইল না, দ্বারবানকে দোষী করাও হইল না; আর ভবিষ্যতে তাহাকে এরূপ করিতে বারণ করা হইবে, তাহাও বলা হইল না। সোসাইটীর অধ্যক্ষসভা বিদ্যাসাগর মহাশয়কে একটু টিটকারী দিয়া বলেন যে, দেশীয় লোকে দেশীয় আচার-ব্যবহার ভাল জানেন।” পাঠক অবশ্য বুঝিবেন যে, মিউজিয়ামের অধ্যক্ষ, আর সোসাইটীর অধ্যক্ষ সভা স্বতন্ত্র জিনিস। দুই পক্ষের পত্রাপত্রি চলিতে লাগিল। সোসাইটীর কার্য্য নির্ব্বাহক সভ্যকে বুঝাইয়া বলা হয়, দেশীয় আচার জুতা খোলা বটে; কিন্তু সে কোথায়? যেখানে চেয়ারে বসিবার ব্যবস্থা, সেখানে জুতা খুলিতে হয় না; যখন ফরসা বিছানায় বসিতে হয়, তখনই জুতা খুলতে হয়। সম্মান দেখাইবার জন্য জুতা খোলা ভারতবাসীর নিয়ম নহে।”

 এ সম্বন্ধে ইংলিসম্যান এই ভাবে বলিয়াছিলেন,—“বিদ্যাসাগরের মতন এক জন পণ্ডিতের প্রতি যখন এইরূপ ব্যবহার, তখন এশিয়াটিক সোসাইটীতে আর কোন পণ্ডিত যাইতে চাহিবেন না।”

 সোসাইটীর জুতবিভ্রাটের সূত্র ধরিয়া, ১২৮১ সালের ২৬শে আষাঢ় বা ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দের ১২ই জুলাই তারিখের “সাধারণীতে” “তালতলার চটি” শীর্ষক নিম্নলিখিত শ্লেষটী লিখিত হইয়াছিল,—

 “রে তালতলার চটি, ইংরাজের আমলে কেবল তোরই