পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৩০
বিদ্যাসাগর।

নিয়োজকের ভিতরে মীমাংসা করিবার কথা। আমি অনেক কাল হইতে বিদ্যালয় পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। আশা করি, অধ্যাপক নির্ব্বাচন ও বেতন নির্দ্ধারণ সম্বন্ধে আমার নিজের বিবেচনামত কার্য্য করিতে দিবেন।

 অধিক আর কি বলিব, আমাদের বিদ্যালয়টী উচ্চ শিক্ষা দিবার উপযোগী করিবার বিশেষ প্রয়োজন হইয়া পড়িয়াছে। মধ্যবিত্ত লোকের অধিক বেতন দিয়া পুত্রদিগকে প্রেসিডেন্সী কলেজে পাঠ করিতে দেওয়া অসম্ভব। এদিকে তাঁহারা পুত্রদিগকে মিশনরী স্কুলে পড়িতে দিতে ইচ্ছা করেন না। কাজেই প্রবেশিকা পড়াইয়াই তাঁহাদিগকে পুত্রের শিক্ষা দেওয়া বন্ধ করিতে হয়। তাঁহাদিগের এই বিদ্যালয় অনেক উপকারে আসিবে।

 আমি, জস্টিস্ দ্বারকা নাথ মিত্র ও বাবু কৃষ্ণদাস পাল—এই তিন জনে এই বিদ্যালয়ের কার্য্যনির্ব্বাহক। আমাদিগের হাতে বিদ্যালয় পরিচালনের উপযোগী অর্থ আছে। যদি কোন সময়ে অর্থের অনাটন ঘটে, তাহা হইলে আমরা নিজের হইতে সে অভাব পূরণ করিতে পশ্চাৎপদ হইব না।”

 আবেদন মঞ্জুর হইয়াছিল। এই বৎসর ফাষ্ট আর্ট ক্লাস প্রতিষ্ঠিত হয়। আবেদন করিবার পূর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাৎকালিক সেক্রেটারী ই, সি, বেলী সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। সাক্ষাতে তিনি বলেন,—“আপনাদের মহিমা বুঝা ভার। আপনারা বলেন, বাঙ্গালী সকল কার্য্যেই গবর্ণমেণ্টের মুখাপেক্ষী। কিন্তু আমি আমার স্কুলে কলেজ খুলিয়া বাঙ্গালী অধ্যাপক প্রতিপালিত করিতে চাহি। ইহাতে গবর্নমেণ্টের মুখাপেক্ষিতা কিছুই নাই। আপনারা কিন্তু তাহাতে বাদ সাধিলেন।