পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
বিদ্যাসাগর।

হইয়াছে। সেই সময়ে তাঁহাদের একটা গাভীও পূর্ণগর্ভ ছিল। পিতা-পুত্রে সত্বর বাড়ীতে ফিরিয়া আসিলেন। ঠাকুরদাস গোয়ালে গিয়া দেখিলেন, বাছুর হয নাই। তখন পিতা রামজয় তাঁহার সুতিকাঘরে লইয়া গিয়া সদ্যোজাত শিশুটিকে দেখাইয়া বলিলেন,—“এই সেই “এড়েঁ”; এবং “এড়েঁ” বলিবার প্রকৃত রহস্যটুকু উদঘাটন করিলেন।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তৃতীয় অনুজ শম্ভুচন্দ্র ‘বিদ্যারত্ব মহাশয় বলেন,—“তীর্থক্ষেত্র হইতে সমাগত পিতামহ রামজয় বন্দোপাধ্যায় নাড়ীচ্ছেদনের পূর্ব্বে আলতায় ভূমিষ্ঠ বালকের জিহবার নিম্নে কয়েকটি কথা লিখিয়া তাঁহার পত্নী দুর্গা দেবীকে বলেন,—লেখার নিমিত্ত শিশুটা কিয়ৎক্ষণ মাতৃদুগ্ধ পায় নাই। বিশেষতঃ কোমল জিহবায় আমার কঠোর হস্ত দেওয়ায় এই বালক কিছুদিন তোতলা হইবে। আর এই বালুক ক্ষণজন্ম, অদ্বিতীয় পুরুষ ও পরম দয়ালু হইবে এবং ইহার কীর্ত্তি দিগন্তব্যাপিনী হইবে।” বিদ্যারত্ন মহাশয় বলেন,—“তিনি এই সব কথা ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা, মাতামহী ও পিতামহীর মুখে শুনিয়া ছিলেন।” বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে কিন্তু এ কথার উল্লেখ করেন নাই; অধিকন্তু আমাদের বন্ধু ' বিশ্বকোষ নামক বিবিধ বিষয়ক পুস্তক-সঙ্কলয়িতা শ্রীযুক্ত রায়সাহেব নগেন্দ্রনাথ বসু, মহাশয়ের নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয় এ কথার প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। বন্ধুতাঁহার জীবনীর তত্ত্ব সংগ্রহ করিয়া “বিশ্বকোষে” মুদ্রিত করিবার জন্য তাঁহার নিকট গিয়াছিলেন। তৎকালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্রাতা বিদ্যারত্ন মহাশয় উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ কথার উত্থাপন করিয়া