পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাক্ষ্য-বাক্য।
৫৭১

আমাকে বলেন যে, বহু বিলম্বে এই মোকদ্দমা মধ্যস্থ দ্বারা মিটাইবার সিন্ধান্ত হইয়াছে। আমার বোধ হয় যে, বাদিনী ভয়ে এইরূপ বলিয়াছেন। যখন আমি কলিকাতায় ছিলাম, তখন আমি উমেশচন্দ্র বাবুকে উইলের এক খানি নকল দেখাই ও তাঁহার সহিত আর কতকগুলি স্মারকপত্র দেখাই। এই স্মারক-পত্রগুলি আমি চক্‌দিঘীতে লিখি। সারদা বাবুর মৃত্যুর পর যখন আমি চক্‌দিঘীতে ছিলাম, তখন আমি ঐ স্মারকলিপিগুলি লিখি। আমি পূর্ব্বেই বলিয়াছি যে, উইল এবং উইলের নকল বৃন্দাবন রায় আমাকে পাঠাইয়া দেন। আমি ঐ গুলি উমেশ বাবুকে দেখাই। আমি এমন কথা বলি নাই যে, আমাকে মধ্যস্থ করা হইয়াছে বলিয়া উইল বজায় রাখিব। আমি শপথগ্রহণপূর্বক এই কথা বলিতেছি। ককরেল সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া ফিরিয়া আসিবার পর আমি এ সম্বন্ধে কোন কথা বলি নাই। আমি ম্যানেজার উমেশচন্দ্র মিত্রকে রাজেশ্বরীর এ পত্রখানি দিই। আমি ম্যানেজারকে বলি যে, সারদা বাবুর প্রেতাত্মা যদি এখনও বর্ত্তমান থাকে, ললিতমোহন বিষয় না পাইলে, তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হইবেন। আমি আরও বলিয়াছিলাম যে, ললিতমোহন বিষয় যদি না পান, তাহা হইলে আমি দুঃখিত হইব। আমার স্মরণ নাই, আমি বলিয়াছিলাম কি না, না-বালককে উইল আনুযায়িক যে বিষয় দেওয়া হইয়াছে, উহা তাহাকে ভোগ করিতে দেওয়া হউক, ইহা আমার ইচ্ছা। আমি বলিয়াছিলাম যে, যদি ললিতমোহন বিষয় পান এবং রাজেশ্বরী মনের সুখে থাকেন, তাহা হইলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হইব। যখন আমি উহা বলিয়াছিলাম তখন আমার ধারণা ছিল না, সারদা বাবু কোন উইল করেন