পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৯৬
বিদ্যাসাগর

তিনি বাবু দুর্গামোহন দাসের সসন্তান বিধবা-বিবাহে আহ্লাদ করিয়া পত্র লিখিয়াছিলেন।

 সহবাস-সম্মতি আইন সম্বন্ধে অভিমত প্রকাশ করিয়া তিনি ফরাসডাঙ্গায় ফিরিয়া যান। সেখানে চৈত্র মাস পর্য্যন্ত ভাল ছিলেন। চৈত্রমাসে দুই দিন অন্নাহার করিয়াছিলেন। বৈশাখ মাসে আবার পীড়া বৃদ্ধি পায়। এই সময় তাঁহার জ্যেষ্ঠা কন্যা কলিকাতায় আসিয়া ৭০০।৮০০ টাকা ব্যয়ে স্বস্ত্যয়নাদি করিয়াছিলেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে হঠাৎ তাঁহার পার্শ্বদেশে একটা বেদনা উপস্থিত হয়। কিছুতেই বেদনার উপশম হয় নাই। তখন তিনি কনিষ্ঠ দৌহিত্র সতীশচন্দ্রের সহিত কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। কলিকাতায় ইলেক্‌ট্রো-হোমিওপ্যাথিক মতে চিকিৎসা হইল। তাহাতে বিশেষ ফল হইল না। এই সময় তিনি অহিফেন পরিত্যাগ করিবার সঙ্কল্প করেন। তিনি বলেন,—“অহিফেন খাইলে দুধ খাইতে হয়। দুধ ত আমার সয় না। কাজেই খাই না, দুধ না খাওয়ায় ফল হইতেছে না। এতএব অহিফেন পরিত্যাগ করাই কর্ত্তব্য। এমন একটা ঔষধ খাওয়া উচিত, যাহাতে অহিফেন ত্যাগ করিলেও কষ্ট হইবে না। ডাক্তার হীরালাল ঘোষ ও অমূল্য চরণ বসু অহিফেনত্যাগে বিপদের আশঙ্কা করিয়াছিলেন। কয়েক জনের সহিত পরামর্শে অহিফেন ত্যাগ করাই সিদ্ধান্ত হয়। কলিকাতা-কলুটোলার হাকিম আবদুল লতিফ অহিফেন ত্যাগ করিবার ঔষধ দেন। সেই ঔষধ দুই দিন সেবন করিবামাত্র পীড়ার প্রকোপ বাড়িয়া উঠে; বেদনা বাড়িল; আবল্য আসিল; হিক্কা দেখা দিল; সকলেই আশঙ্কিত হইলেন। চিকিৎসার জন্য ডাক্তার বার্চ্চ ও মাকোলনকে আনান হয়। তাঁহারা বলেন,—“উদরে ক্যানসার