পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পীড়ার অবস্থা।
৫৯৭

হইয়াছে।” রোগের উপশম হইল না। কখনও বেদনা বাড়ে, কখনও কোষ্ঠবদ্ধ হয়, কখনও হিক্কা বাড়ে। আবার কোন দিন একটু ভাল, কোন দিন একটু মন্দ হয়। কোন দিন আহারের আদৌ প্রবৃত্তি থাকে না, কোন দিন একটু প্রবৃত্তি হয়। ৩০শে আষাঢ় পর্যন্ত এইরূপ অবস্থায় যায়। ৩১শে আষাঢ় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সল্‌জার সাহেব চিকিৎসা করিতে আরম্ভ করেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় একটু উপকার হইয়াছিল। পূর্ব্বে মলত্যাগ করাইতে পিচকারী ব্যবহার করাইতে হইত। অতঃপর পিচকারী ব্যবহার করিতে হয় নাই। ডাক্তার সল্‌জার ‘অলসার’ অনুভব করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন,—“ন্যাবা কমিবার সম্ভাবনা, না কমিলে সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা। কমিলেও এক মাসের অধিক বাঁচিবার সম্ভাবনা নাই।” এই সময় গর্দ্দভদুগ্ধের ব্যবস্থা হইয়াস্থিল। কোনও দিন গর্দ্দভদুগ্ধ সহিত, কোন দিন সহিত না। কোন দিন, একটু বল হইত, কোন দিন হইত না। কোন দিন হিক্কা কমিত, কোন দিন বাড়িত। গাড়ীঘোড়ার শব্দে কষ্ট হইত বলিয়া বাড়ীর পার্শ্বে গলিতে বিচালি বিছাইয়া দেওয়া হইয়াছিল। গাড়ী ঘোড়া যাইলে শব্দ হইত না। মিউনিসিপালিটী স্ক্যভেঞ্জারের গাড়ী যাওয়া বন্ধ করিয়া দিয়াছিলেন। ৩রা শ্রাবণ ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার দেখিতে গিয়াছিলেন। তাঁহার মতে পুরাতন গ্রহণী যত অনিষ্টের মূল।

 ডাক্তারেরা আসিতেন, দেখিতেন, চলিয়া যাইতেন; কিন্তু ডাক্তার অমূল্যচরণ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট দিবারাত্র বসিয়া থাকিতেন; শুশ্রূষা করিতেন; মুহুর্মূহু রোগের গতি নিরীক্ষণ করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় অমুলাচরণকে পুত্রের