পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০৬
বিদ্যাসাগর।

সুন্দর জীবনী লিখিতে পারিবে, তাহাকে “বিদ্যাসাগর” নামক একটি পদক পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব হইয়াছিল। এতদ্ভিন্ন আরও বহু স্থানে বহুবিধ পুরস্কার-পদকাদি দিবার সঙ্কল্প সিদ্ধান্ত হইয়াছিল। নানা স্থানে লাইব্রেরী, চিকিৎসালয় প্রভৃতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মৃত্যুর পর সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক প্রভৃতি বহু পত্রেই তাঁহার স্মৃতিসম্মানসূচক শোক-কবিতা প্রকাশিত হইয়াছিল। উহার মধ্যে কবিবর হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজকৃষ্ণ রায় এবং শ্রীমতী ভূপেন্দ্রবালা দেবীর লিখিত তিনটী কবিতা হইতে কিছু কিছু উদ্ধৃত করিতেছি। এই তিনটী কবিতাই হিতবাদী পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল।

“বিদ্যাসাগর।

ফুরাল বঙ্গের লীলা মাহাত্ম্য সকলি,—
হরিল বিদ্যাসাগরে কাল মহাবলী।
হারালে মা বঙ্গভূমি, পুত্ররত্নে আজ,
বিশীর্ণ বিমর্ষ দুঃখে বঙ্গের সমাজ!
কি মহা পরাণ লয়ে জন্মেছিল ধীর,
কিবা বিদ্যা, বুদ্ধি প্রভা, করুণা গভীর;
বিদ্যার সাগর খ্যাতি—আরো মনোহর;
বিশাল উদার চিত্ত দয়ার সাগর;—
তেমন সন্তান মাগো, কে আর তোমার!
কাঁদিছে, হের গো, তারে করিয়া স্মরণ,